ইনজুরির আগে ৯ ম্যাচে ২৬ উইকেট। পরের ১৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট। দুটি ভিন্ন সময়ের এই চিত্রই বলে দেয় মোস্তাফিজুর রহমানের কিছু একটা হয়েছে। দুই সময়ের বোলিংয়ের ভিডিও বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায়, কিছু মৌলিক দিক পরিবর্তন করতে যেয়ে নিজের সহজাত শক্তিকে ভেঙে ফেলছেন সাতক্ষীরার তরুণ।
মোস্তাফিজের এই পরিবর্তন অনেকের মতো চোখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারের গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিমেরও। তিনি বললেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, আগে বল ছাড়ার সময় সে স্টাম্পের খুব কাছে থাকত। এখন দূরে থাকে। আগে স্টাম্প-টু-স্টাম্প বল করতো। যার কারণে কাটার এবং স্লোয়ার খুব বিপজ্জনক হতো। এখন ক্রিজের বেশ বাইরের দিক থেকে বল করায় আগের মতো ফলপ্রসূ হচ্ছে না।’
গত বছর জুলাইতে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে যেয়ে ইনজুরিতে পড়েন কাটার মাস্টার। এরপর আগস্টে ফোর্টিয়াস ক্লিনিকের অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস বাংলাদেশের এই পেসারের কাঁধে অস্ত্রোপচার করেন। এর ভেতর বাংলাদেশ দলে পেসারদের কোচ হয়ে আসেন কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। মোস্তাফিজকে ইনজুরি মুক্ত রাখতে তার বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন তিনি।
এখন ফিজের বল স্টাম্প থেকে বেশ দূরে পিচ করে। যার কারণে ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে ভয় করে না।
মোস্তাফিজ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে সেদিন ৬ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে উইকেটহীন ছিলেন। এই অবস্থা ছিল প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে। শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি উইকেট পান। তাও ৫২ রান দিয়ে।
বাঁহাতি পেসারদের সবসময় স্বাভাবিক ইনসুইং থাকে। মোস্তাফিজের সেটা নেই। কাটার আর ইনসুইংয়ের সমন্বয় করতে যেয়ে এখন জট পাকিয়ে ফেলছেন!