অনলাইন ডেস্ক :
ফরিদপুরের কানাইপুরে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ ভ্যানের ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি আলফাডাঙ্গায়।
নিহত এক পরিবারের পাঁচ সদস্য হলেন- আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেনের মা, তার বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী এবং এক সন্তান।
এই পরিবারের মোট ছয়জন ছিলেন ওই পিকআপে। একজন গুরুতর আহতাবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের অ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় হতাহতদের সবাই জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা। তবে সবার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ইউনিক পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের দিকে যাচ্ছিল। পিকআপ ভ্যানটি আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ শব্দ পেয়ে রাস্তায় দৌড়ে এসে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, নিহত ও আহতদের বাড়ি বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ স্যারের মা, বড় মেয়ে, স্যারের ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ ছয়জন সদস্য ছিল। তাদের পাঁচজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।’
এ বিষয়ে ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুজন মারা যায়। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’