নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর ও মেডিকেল হাসপাতালসহ নদী খাল খননের দুনীতি ও অনিয়মসহ জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায প্রতিবাদে পথসভা করা হয়েছে। ৯ জুন রবিবার বিকেলে জেলা ভুমিহীন সমিতির আয়োজনে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ম্যাুরালের সামনে জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা করা হয়।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গত ৪ তারিখে পথসভায় দুনীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় মেডিকেল হাসপাতালের ডাঃ শীতল চৌধুরী, স্টোর কিভার হাবিব ও ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন দুলালের ভাড়াটিয়া হেলমেট পরা অজ্ঞাত ৪ জন দুই মোটরসাইকেল যোগে এসে শহরের পথিমধ্যে ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীকে দেখে প্রাণনাশেের হুমকি দেয়। এই হুমকি দেওয়ায় জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পথসভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দুনীতিবাজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ শীতল চৌধুরীর প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও ভুয়া নিয়োগপত্র দেখাইয়ে প্রায় চার কোটি টাকা আত্নসাতকারী টেন্ডারবাজ একাধিক মামলার আসামী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি বরিশালের পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
বক্তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারদের দুনীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে পথসভায় বলেন, সদর ও মেডিকেল হাসপাতালের ডাক্তাররা রোগীদের সেবা দিতে অনিহা প্রকাশ করে। তারা হাসপাতালের চিকিৎসার নানা যন্ত্রপাতি সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে বেশিরভাগ রোগী প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আর সেখানে রোগীদের বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষী করার নামে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সদর হাসপাতালের ডাঃ অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে পথসভায় বক্তারা বলেন, ডাঃ অভিজিৎ রায়ের কাছে হার্ডের রোগী ও মেডিসিন রোগী আসলেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসার নানা যন্ত্রপাতি সমস্যার রয়েছে এর অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে সেখানে তিনি রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চিকিৎসা দেন। রোগীরা সদর ও মেডিকেল হাসপাতালে নিয়মিত আউটডোরে ডাক্তার পায় না। আর ডাক্তার রোগী পেলেই তারা হাসপাতালে নানা অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে স্টাফদের অমুক-তমুক ক্লিনিক ও প্রাইভেট পাঠিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। নদী ও প্রাণ সায়ের খাল খননের দুনীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে। অবিলম্বে দুনীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত ডাক্তারসহ বিভিন্ন প্রশাসন মহলের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাতক্ষীরা বেকারত্ব ও অসহায় মানুষের কর্মসংস্থান করতে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস্ দ্রুত চালুর দাবি জানান বক্তারা।
প্রতিবাদ সভায় জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজীর সঞ্চলনায় বক্তব্যে রাখেন, সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী এড আকবর আলী, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস্ চালুর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাগফুর রহমান, সাবেক সিবিএ নেতা শেখ শওকত আলী, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী শেখ ফারুক হোসেন, ভুমিহীন অধিকার পরিষদ সভাপতি বাবলু হাসান, ভুমিহীন নেতা হাফিজুর রহমান, রেজাউল করিম রেজা, মগবুল হোসেন, নাজমা আক্তার নদী, শাহানারা খাতুন রিনা।