আশাশুনি ব্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার তিতুখালী-১ জলমহাল এর পূর্বের ইজারাদারের ইজারা বাতিল পূর্বক নতুন ইজারা গ্রহিতাকে খাস কালেকশানের জন্য জলমহালটি হস্তান্তর করা হয়েছে। বড়দল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক গতকাল সরেজমিন দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া মৌজায় ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১৭৫, ২৭০ ও ৩১২ দাগে ২৫.৫০ একর আয়তনের তিতুখালী-১ খাল (বদ্ধ) জলমহালটি জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা ১৪৩১ সালের ইজারা বাতিল করেন। তখন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি ১৫৩৩/১ নং স্মারকে গত ২৫ জুলাই সরকার অনুকূলে দখল নেওয়ার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে লাল পতাকা পুতে দখল বুঝে নেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় ২০ আগস্ট —- ৬৬৪ নং স্মারকে ১৪৩১ সালের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার ২০০ টাকা ইজারা মূল্য নির্ধারণ করে বুড়িয়া গ্রামের মৃত জহর আলী সরদারের পুত্র হারুন সরদারকে ইজারা প্রদানের (খাস আদায়ের) জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি গত ২০ আগস্ট হারুন সরদারের অনুকূলে ইজারা মূল্য আদায় সাপেক্ষে জলমহালটি ইজারা প্রদান করেন।
২১ আগস্ট ইজারা মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশনা মোতাবেক বড়দল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক ২২ আগস্ট সরেজমিন গিয়ে ইজারা গ্রহিতা হারুন সরদারকে জলমহালটি বুঝিয়ে দিয়ে হস্তান্তর করেন। এসময় আবুল কালাম মোল্যা, সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা, মঞ্জুরুল ইসলাম সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।