নিজস্ব প্রতিনিধি : সাবেক তাঁতীদল নেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল হত্যার ঘটনায় কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান শাফিয়া পারভীন সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর নিহতের মামা মিনারুল ইসলাম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ আমলী ১নং আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭৮৪/২৪।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মৃত মুনছুর কাগুচীর পুত্র আজিবর কাগুচী, রুহুল আমিন গাজীর পুত্র সিরাজ গাজী, মাছলেম তরদারের পুত্র আখিনুর রহমান, নেঙ্গী গ্রামের মৃত মোমিন আলী গাজীর পুত্র জাবেদ আলী গাজী,কৃষ্ণনগর ঘোষপাড়া গ্রামের কানাই ঘোষের পুত্র গোবিন্দ ঘোষ, কৃষ্ণনগর গ্রামের ছোসরাফ কাগুচীর পুত্র আনিছুর কাগুচী,মোনছের গাজীর পুত্র হাফিজুল গাজী, সোহরাব কাগুচীর পুত্র আমিনুর কাগুচী, মৃত সাধন ঘোষের পুত্র সুশান্ত ঘোষ, মোসলেম কাগুচীর পুত্র মোহসীন কাগুচী, সোতা গ্রামের তোহরালী মোড়লের পুত্র রফিকুল মোড়ল, মানপুর গ্রামের ওয়াজেত আলীর পুত্র বাবু ওরফে হোচট বাবু, আলী গাজীর পুত্র রমজান গাজী, মৃত আরমান কাগুচীর পুত্র আক্তার কাগুচী, মুক্তার কাগুচী, ছফেদ আলী সরদারের পুত্র মোস্তফা সরদার, রামনগর গ্রামের শেখ ফারুক হোসেনের শাহীনুর শেখ, রঘুনাথপুর গ্রামের আলিম উদ্দীন সরদারের পুত্র নজরুল সরদার, গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর পুত্র মজিবর গাজী, সোতা গ্রামের আদম গাজীর পুত্র কাশেম গাজী, বড়দোনা গ্রামের আফসার আলীর পুত্র আজিজুল গাজী, শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মুজিবর গাজীর পুত্র ফয়সাল রাসেল।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, ১৪ দলের আভ্যন্তরিন কোন্দাল এবং অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থের ভাগ বন্টনসহ বিভিন্ন কারনে গত ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কৃষ্ণনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় হয়রানিমূলকভাবে কৃষ্ণনগর ইউপির সাবেক সদস্য তাঁতীদল নেতা আব্দুল জলিলকে আসামী করা হয়।
তালাক প্রাপ্তা সাফিয়ার পারভীনের সাথে পুলিশ মহলে সখ্যতা এবং কতক পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের যোজসাজসে ১৫ সেপ্টেম্বর আব্দুল জলিল কে আটকের নাটক সাজায়। আটকের পর নাটকীয়ভাবে জনতার বিচারে হত্যা দেখানোর উদ্দেশ্যে সাফিয়ার গুন্ডা বাহিনী আব্দুল জলিলকে ছিনিয়ে নেয়। পরে সাফিয়ার নির্দেশে অন্যন্যা আসামীরা আব্দুল জলিলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। সে সময় কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলেও আসামী সনাক্ত করা যায়নি মর্মে চ‚ড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। হত্যাকারীদের অপকর্ম ঢাকতে এবং আব্দুল জলিল মেম্বরের জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে এ হত্যা ঘটনানো হয়েছে বলে দাবি করেন বাদী। সে সময় অনুক‚ল পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে পারেনি। তবে বর্তমানে পরিশে অনুক‚লে আসায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।