নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুরে নিজেদের লাগানো গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় নারী শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম (৩১)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ ইয়াকুব্বার আলীর জমির ম্যাপ পরিবর্তন হওয়ায় মাপজরিপ করে তার জমির ভেতরে নারায়ন মন্ডলের জমি ক্রেতা মো. ফজলুর ১.৩৫ শতক জমি ঢুকে যায়। এতে করে ইয়াকুব্বার আলী ওই জমি ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওই জমিতে তার লাগানো ২টা আমগাছ ও একটি মেহগনি গাছ সোমবার সকালে কেটে নিতে যায়। গাছ কাটা হওয়ার শেষ মুহুর্তে সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিবপুর ইউনিয়নের গদাঘাটা গ্রামের ফজলু গাজী, পুনি গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ ওয়াজেদ আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪২), মোঃ ফজলুর ছেলে মোঃ সাজ্জাত (২৩) হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, দা ইত্যাদি নিয়ে দলবদ্ধভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। উক্ত গালি- গালাজের প্রতিবাদ করায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোঃ ইয়াকুব্বার আলী, তার ছেলে রবিউল ইসলাম (৩১), স্ত্রী রহিমা খাতুন (৫০), রবিউলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন (৩০), মেয়ে রেশমা খাতুন (২৩) ও রবিউলের শিশু কন্যা সাদিয়া আফরিন (৫) কে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। তারা বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে ইয়াকুব্বার আলি বলেন, আমি তাদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু জমিতে থাকা তিনটি গাছ কেটে নেওয়ার সময় আমাদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইয়াকুব্বার আলির ছেলে রবিউল ইসলাম বলেন, তারা আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী ও বোন ঠেকাইতে আসলে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট শুরু করে। ফজলুর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে। আমার বোনের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং বোনের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের সোনার চেইন টান মেরে নিয়ে নেয়। বোনের ডান পায়ের উরুতে বাড়ি মেরে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। এ সময় আমাদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে আমাদের খুন জখম করার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে জানার জন্য ফজলু গাজীর মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ঘটনা শুনে তৎক্ষণাৎ গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দেই। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
সাতক্ষীরা সদরার এসআই মেহেদী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।