নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় সরকারী খাস জমি দখল মুক্ত করনে টাস্কফোর্স এর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।
সভায় জেলার যে সকল জায়গায় খাসজমি অবৈধভাবে ভুমিদস্যুদের দখলে রয়েছে সেগুলো সব উদ্ধারে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সাতক্ষীরার আলিপুরে প্রায় ৩০ বিঘা সরকারি খাস জমি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের লেঃ লাবিব, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, আরডিসি মোঃ পলাশ আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শোয়াইব আহমাদ, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ কুমার সরকার, সড়ক ও জনপদের নির্বাহি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ, পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী সালাহ উদ্দীন আহেমদ, এলজিইডির নির্বাহি প্রেকৌশলী কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত সরকারী খাস জমি রয়েছে যে গুলো ভুমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখলে রয়েছে সেগুলো উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে খাসজমি উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপদের আওতাধীন জেলার বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রয়েছে সেগুলো স্ব স্ব বিভাগকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হবে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এসময় জানান, ইতিমদ্যে গত দুই দিনে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ভুমিদস্যু আব্দুস সবুর ও তার ভাই আব্দুর রউফের দখলে থাকা প্রায় ৩০ বিঘা (৯.৬৮ একর) সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যা সড়ক ও জনপদ এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। এসব খাসজমিতে অবৈধভাবে ভরাট করে ট্রাক টার্মিনালসহ স্থাপনা ও জল মহল করেছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা গুলো ইতিমধ্যে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি এসময় বলেন, সাতক্ষীরার এক খন্ড সরকারী জমি যাতে কোন ভুমি দস্যু ও জবরদখলকারীর হাতে না থাকে সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।##