গতকাল আহলেহাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আহলেহাদীস যুব সংঘ সাতক্ষীরা জেলার উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরাঈলী আগ্রসনের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। পরে রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মাও: মো: আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মাও: ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাও: মোফলেহুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান ফারুক, প্রশিক্ষন সম্পাদক আব্দুল খালেক, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাও: মহিদুল ইসলাম, জেলা উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, পেশাজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: নাজমুজ সাকিব ব্রাইট, আহলে হাদীস যুব সংঘের জেলা সভাপতি মাও: মুজাহিদুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আহলেহাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আহলে হাদীস যুব সংঘ, আহলেহাদীস পেশাজীবী ফোরাম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলআওন এর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানান। এসময় ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব চাই’ ফিলিস্তিনিদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, ইহুদিদের কালোহাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’ ইসরাইলের মাসনদের আগুন জ¦ালো একসাথে, আমরা সবাই সালাউদ্দিন মুক্ত হবে ফিলিস্তিন ইত্যাদি শ্লোগানে সাতক্ষীরার রাজপথ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাঈল নামক মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গী রাষ্ট্রটি প্রায় ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তীন ও গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা তারা গাযায় বোমা নিক্ষেপ করছে। বর্তমানে পুরো গাজা একটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সেখানে ৬০-৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এই তথাকথিত আধুনিক বিশ্বে সারাবিশ্বের মানুষের চোখের সামনে এত নির্মম ও নৃশংস একতরফা গণহত্যা হয়ে যাচ্ছে। অথচ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বুলি ছড়ানো দেশগুলো নির্বিকারভাবে তা দেখছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো পৃথিবীর কোথাও কুকুর মরলেও বিবৃতি দেয়, সেখানে গাযার নির্মম গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ। অপরদিকে মুসলিম দেশের শাসকরাও নিশ্চুপ। ওয়াইসি নিশ্চুপ, আরব লীগ নিশ্চুপ। তারা বলেন, মুসলিম উম্মার অনৈক্যের কারণেই ইহুদি জায়োনিস্টরা এই নির্বিচার অন্যায় করে যাচ্ছে। আর পিছনে শক্তি হিসাবে কাজ করছে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব।
একসময় বৃটিশরা তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যে বসিয়েছিল এবং আমেরিকা স্বীকৃতি দিয়েছিল। আজও আমেরিকা ও ইউরোপ নির্লজ্জভাবে তাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, অবিলম্বে ইসরাইলের এই অন্যায় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জোর দাবি জানান এবং ইসরাঈলী পণ্য বয়কটসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পেশ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি