পেছন থেকে বাসরি লালকে দেখলে শিশু বলেই ভুল হবে। তাঁর উচ্চতা মাত্র দুই ফুট পাঁচ ইঞ্চি। অবাক করা বিষয় হলো, ছোট এই মানুষটি এরই মধ্যে ছুঁয়ে ফেলেছেন ৫০। বয়স আর উচ্চতার অমিলের কারণে এরই মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের এই বাসিন্দা।
ছোটবেলা থেকেই উচ্চতার কারণে হাসি-ঠাট্টা করা হতো বাসরিকে। তবে গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেই দিন বদলে গেছে। পরিবার তাঁকে ‘হিরো’ (নায়ক) নামে ডাকছে।
বাসরির বড় ভাই গোপী লালের (৫৫) উচ্চতা আবার সাধারণ আর ১০ জন মানুষের মতোই। নিজ সহোদরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসে। এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। মানুষ বাসরিকে ভালোবাসে দেখে আমাদের গর্ব হয়।’
নিজের আকৃতি নিয়ে মনোঃকষ্ট নেই বাসরির। তিনি বলেন, ‘উচ্চতা আমার জন্য কোনো সমস্যা নয়। আর ১০ জনের মতোই আমি কাজ করি, বেঁচে থাকি ও ঘুমাই। সাধারণ একজনের মতোই আমি খেতে পারি।’
জন্মের সময় বাসরির আকৃতি স্বাভাবিক ছিল। পাঁচ বছর বয়সে থেমে যায় তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি। দারিদ্র্যের কারণে সে সময় বাসরিকে চিকিৎসাও করাতে পারেনি তাঁর পরিবার।
এ বিষয়ে বাসরির ভাই গোপী বলেন, ‘তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ ছিল না। আমরা খুব গরিব ছিলাম। আমি নিজে একজন দিনমজুর। কী-ই বা করতে পারতাম তাঁর জন্য?’
ভাই গোপী ও তাঁর স্ত্রী সত্যের বাসায় থাকছেন বাসরি। একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি।
‘তিনি শুধু ভালো থাকতে চান, ভালো মানুষের সঙ্গে থাকতে চান, আর চান একটু ভালো-মদ’, বলেন গোপীর স্ত্রী সত্য।