নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা সদরের অধিকাংশ এলাকা বছরের ছয় মাসেরও বেশি সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এর প্রভাবে শিশুদের খেলার উপযোগী মাঠ থাকে না, শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দেয় এবং বাল্যবিবাহের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিশুদের মনোসামাজিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নতুন উদ্যোগ হিসেবে সংস্থাটি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে নিরাপদ খেলাধুলার ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে টি ডি এইচ, সুইজারল্যান্ড।
প্রতি সপ্তাহে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ, শাল্যে আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা মাঠ, শাল্যে আব্দুল গফফার স্মৃতি ফুটবল মাঠ, শাল্যে সরকারি প্রাইমারি স্কুল এবং মাছখোলা নুর ইসলামের বাড়ির উঠানে ফুটবলসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজন করা হচ্ছে। ফুটবল কোচ জহিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শিশুরা ফুটবলের নানা কলাকৌশল শেখার পাশাপাশি নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারছে এবং জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন যুব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় শাল্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘স্পিরিট কল’ প্রকল্পের নিয়মিত সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা। তিনি মেয়েদের নিয়মিত অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন সাতক্ষীরার মেয়ে। জাতীয় দলে সাতক্ষীরার আরও কয়েকজন মেয়ে রয়েছে। তোমরাও চাইলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেতে পারো। এজন্য মনোযোগ সহকারে খেলতে হবে, খেলার কলাকৌশল রপ্ত করতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানোর উপায়গুলো শিখতে হবে।”
নুরুল হুদা মেয়েদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, খেলাধুলা যেমন স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একত্রে কাজ করার ক্ষমতাও গড়ে তোলে।