নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় হত্যার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ৮ বছর পর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র মারুফ হোসেন প্রান্ত বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রণব কুমার গুহ উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহ শহীদ স্মৃতি কলেজে ভুক্তভোগী মারুফ হোসেন প্রান্ত একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। সে সময় তিনি জেলা ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব ছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিলন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা হান্নান, ছাত্রলীগ নেতা শাওন, মহিদুলসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে কলেজের সামনে ভুক্তভোগীকে মারধর ও শারিরীক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে হুমকি প্রদর্শন করে বলে ওই কলেজে লেখাপড়া করতে ও দেশে থাকতে হলে দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হবে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কলেজ, ভিটাবাড়ি ছাড়তে হবে এবং তোকে গুম, মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে। অন্যথায় তোর চাচা আগরদাড়ী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আনারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামকে যে ভাবে হত্যা হয়েছে তোকেও সেই ভাবে হত্যা করা হবে বলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করে চলে যায়।
সে সময়ে থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা মামলা নেননি, এমনকি আসামীদের ভয়ে আদালতে মামলা করতে পারেনি বলে জানান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মধ্যে দেশে স্থিতিশীল হওয়ার পর উক্ত বিষয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
মামলার আইনজীবী এড. অমিত কুমার রায় জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।