নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ উঠেছে নজরুল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের আব্দুস সোবহান ঢালীর পুত্র আজিজুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজায় ২০১৬ সালে ৬৬২৮ নং রেজিষ্ট্রি কোবলা দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। একই মালিকের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ইসহাক আলী মোড়লের পুত্র নজরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে যোগদান করার পর থেকে তিনি নিজের জমির সীমানার বাইরে আমার সম্পত্তির কিছু অংশ দখল ছাড়াও অন্যান্য ব্যক্তিদেরও কিছু জমি দখল করে ভবন নির্মান শুরু করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তিনি পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু নজরুল ইসলাম নিজের পুলিশের কর্মকর্তা দাবি করে আইন আদালতের কোন তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। গত ৭/৯/২৫ তারিখে প্রকাশ্যে আমার স্ত্রীকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। এনিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেছি। যার নং-৪৯৭। পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল চাকুরি জীবনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগে যেমন পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করেছেন তেমনিভাবেই আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেপরোয়া পুলিশ পরিদর্শক নজরুল কোন আইনই মানতে চান না।
উপায়ন্তর হয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের কাছের লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের মাধ্যমে কিছু শর্তস্বাপেক্ষে মিমাংসা হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো ওই পর সম্পদলোভী পুলিশ কর্মকতা নজরুল ইসলাম পূর্বের ন্যায় আবারো বেপরোয়া হয়ে আমার সম্পত্তি যবর দখল শুরু করেছেন। আমি অসহায় এবং নিরিহ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখতে চায়। তিনি আমি ওই অসৎপুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কবল থেকে রেকর্ডীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।