বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দূরনিতি অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ ছয়টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আব্দুল কুদ্দুস একজন ব্যবসায়ী। অভিযোগে বেলন, দুর্নীতিতে সেঞ্চুরির পথে দক্ষিণ উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর হওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে যে, দূর্নীতি বা অ-নিয়ম এখানে হয় তাহা আওয়ামী সরকারের দোসর কর্তৃক তৎকালীন সময় নিয়োগের মাধ্যমে, মোট অংকের উৎকোচ গ্রহনপূর্বক বিভিন্ন দপ্তরে অ-নিয়ম দূর্নীতি করে আসছে। ৫ই আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসিনার দোসরদের চাকুরীর স্থানন্তর করা হয়েছে। অতি চতুর কিছু কর্মকর্তা বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে স্ব-স্ব- স্থানে নিঃদ্বিধায় বহাল থেকে বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
যেমন হাসপাতালের কোয়াটারের ভাড়ার টাকা সরকারি খাতে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটে ঢুকান। আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারি কোয়াটারের বড় অংকের বিদ্যুৎ বিল অফিস বহন করলেও সে সমস্ত কোয়াটার কারো নামে বরাদ্ধ নয়। তার মানে ভাড়ার টাকা অফিসের বড় বাবুদের পকেটে চলে যায়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নার্স তার কোয়াটারের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় তার বেতন বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করিলে বেতন পুনরায় চালু করে। এই সিন্ডিকেটের নেপথ্যে বাবু মনদ্বীপ কুমার (ফার্মাসিস্ট) এবং জাহিন হাসান (বড় বাবু) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
বর্তমান কোয়াটার কাউকে বরাদ্ধ না দিয়ে অবৈধভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালের সোলার প্লেট, ব্যাটারী, দরজা, লোহার গেইট এবং অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ব্যবহারিত ইঞ্জিন ভ্যানটি বিক্রয় করে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি তৎকালীন আওয়ামলীগের রাতের ভোটের এমপি কর্তৃক বেশ কিছু অর্থের বিনিময়ে রফা-দফা করে ধামাচাপা দেওয়া হয়। বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ হইলে সাংবাদিকদের বেশকিছু স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ হইলে সাংবাদিকদের ম্যনেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ইঞ্জিনভ্যান বিক্রয় সিন্ডিকেটের মূলহোতা বাবু মনদ্বীপ কুমার গায়েন (ফার্মাসিস্ট), জাহিদ হাসান (বড় বাবু) এবং কৃষ্ণ রজক (ড্রাইভার) কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত ইঞ্জিনভ্যানের অর্থ লোপাট করেন।
হাসপাতালে রোগীদের সুপেয় খাবার পানি সরবরাহের মটর চুরি হয়, সে মটর চুরির ঘটনা বড় অংকের টাকার বিনিময়ে রফা-দফা হয়। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূর্নীতির আখড়া। এর প্রতিকার চেয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সচিব, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা নিকট সারক লিপি প্রদান করে এ ব্যবসায়ী। জাহিদ হাসান বড়বাবুর কাছে ফোন দিয়ে ফোন রিসিভ হয়নি। মনদ্বীপ গায়েন ফার্মাসিস্ট বলেন, অভিযোগ হয়েছে দেখুক তারা কোথার দুর্বলতা আছে। আমার যদি কোন ক্রাইম থাকে বা অপরাধ থাকে তারা বের করবে না

