মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠক জীবদ্দশায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিক হিসাবে সমাজ পরিবর্তনের ও দূর্ণীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবী আদর্শের বীর সৈনিক রুপে স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তাঁর আদর্শ ও জীবনাচরণে সকলকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করবে। ৭১’র অকুতোভয় বীর সেনানী মোড়ল আব্দুস সালাম জন্ম গ্রহন করেন ১৯৪৮ খ্রিঃ ১লা এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কৃষ্ণকাটি গ্রামে। তার পিতার নাম হাজী আবুল কাশেম মোড়ল, মাতা আশাফুন্নেছা বেগম। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট বেলায় তাঁর বাবা মা ও গ্রামবাসী আদর করে তাকে ডাকতো বাচা। লেখাপড়ার হাতে খড়ি কৃষ্ণকাটি প্রাইমারী স্কুলে। এর পরবর্তীতে ভর্তি হন কপিলমুণি সহচরী বিদ্যামন্দিরে। এই স্কুলে লেখাপড়ার সময় ১৯৬২ সালে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলন ও ধর্মঘট পালনের মধ্যে দিয়েই মূলতঃ রাজনীতিতে হাতে খড়ি মোড়ল আব্দুস সালাম মোড়লের। তিনি ১৯৬৪ সালে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবী দাবার আন্দোলন, স্কুলের নির্বাচিত মণিটর এবং ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ২য় বিভাগে মেট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে ভর্তি হন বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দৌলতপুর ব্রজলাল (বি,এল কলেজ) মহাবিদ্যালয়ে এবং ১৯৬৬ সালে দৌলতপুর কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এখান থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বাগেরহাটে আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র (পি,সি কলেজ) মহাবিদ্যালয়ে ¯œাতক শ্রেণীতে ভর্তি হন। সে সময়ে দেশে রাজনীতি তুঙ্গে, তিনিও সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত পর পর দু’বার বাগেরহাট মহাকুমায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী সরকার বিরোধী গণআন্দোলনে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেফতার হন এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারী সরকার আন্দোলন মুখে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। ঐ একই বছর তৎকালীণ পাকিস্তানের মন্ত্রী খান এ সবুর তার রাজনৈতিক সফরে তালায় এসে পরবর্তীতে কৃষ্ণকাটি হাইস্কুল পরিদর্শনে যান। এই সময় সবুর খানের আগমনের প্রতিবাদে পাড়া থেকে ছেড়া জুতা সংগ্রহ করে কৃষ্ণকাটি রাস্তায় রাস্তায় জুতার মালা টাঙ্গিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
তিনি ১৯৭০ খ্রিঃ ৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য নিরুপনে ছাত্রলীগ আহুত কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের ঢাকা বলাকা ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দেন। সভায় স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তৎকালীণ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক স্বপন কুমার চৌধুরীর প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে তিনি নতুন রাজনৈতিক নির্দেশনা পথ বেছে নেন। ১৯৭০ খ্রিঃ ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসাবে পালনের কর্মসূচীতে তৎকালীণ পাইকগাছা, আশাশুনি, বড়দল, রাড়–লী, কপিলমুণি, খুলনা ও সাতক্ষীরার ব্যাপক এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নির্দেশনায় ২৬ শে মার্চ আশাশুনির খড়িহাটির জনসভা বাতিল করে সাতক্ষীরা সদরে পৌঁছে ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল, আজিবর, ময়না, জজভাই, মাসুদা, কামরুজ্জামান, এনামূল, দেলোয়ার হোসেন দুলু, মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, দুই খসরু, কাজল, হাবলু, গোলাম, সুভাষ সরকার, সাইদুর রহমানসহ সাতক্ষীরার ছাত্রনেতাদের প্রয়োজনীয় কাজের প্রস্তুতিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ১৯৭১ সালের ২৯ শে মার্চ সাতক্ষীরার তৎকালীণ এসডিও খালেক মাসুদের অফিসের সামনে হাজির হয়ে মোড়ল আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং একই সাথে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। গণ পরিষদের সদস্য এম, এ গফুর এবং সুবেদার আয়ুব আলীসহ সাতক্ষীরা জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পাঞ্জাবী খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। দেশ মাতৃকার শৃঙ্খল ভাঙ্গার দুর্বার শপথে বলীয়ান মোড়ল মোড়ল আব্দুস সালামের চেতনায় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সৃষ্ট মশাল দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। স্বাধীন দেশের কর্মযোগ্য পরিচালনায় অর্থের প্রয়োজনে সাতক্ষীরা শহরের পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহ করার পরিকল্পনায় ৮ই এপ্রিল সফল অভিযানে অংশগ্রহন করেন তিনি। সংগৃহীত হয় নগদ মোট এক কোটি বিরাশি লক্ষ টাকা যাহা ছিল নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতার শুভ সূচনা। ১৯৭০ খ্রিঃ নির্বাচনের ব্যাপক গণ সংযোগ এবং সাংগঠনিক কাজের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন যোদ্ধা হিসেবে ভারতের দেরাদুন ক্যাম্প থেকে স্বশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৯৭১ খ্রিঃ ১৫ই আগষ্ট বৃহত্তর খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নেতৃত্বে ১৬জন প্রশিক্ষিত এবং ১৯ জন সহযোগীসহ মোট ৩৭ জনের একটি দল নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে সাতক্ষীরা জেলার তালা মাগুরায় অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার ঘাটি গড়ে তোলেন মোড়ল আব্দুস সালাম। এরপর শুরু করেন স্থানীয় মানুষের মধ্যে ট্রেনিং প্রদানের কাজ এবং পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর শত্রু ঘাঁটি আক্রমনের পরিকল্পনা। প্রস্তুতি পূর্বে প্রাথমিক আক্রমন পরিচালনায় পাইকগাছা, বড়দল, হাড়িয়ায় সফলতা অর্জিত হয়। এরপর পাটকেলঘাটা, কপিলমুণি রাজাকার ঘাঁটির বিরুদ্ধে কোন্টি আগে পরিচালিত হবে সেই প্রশ্নে মোড়ল আব্দুস সালাম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর কথা মত কপিলমুণি রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ ও সফলতা অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই যুদ্ধ সম্পর্কে মোড়ল আব্দুস সালাম লিখেছেন তার জীবনে কপিলমুণি যুদ্ধই শেষ যুদ্ধ। কপিলমুণি রাজাকার ঘাঁটির তালিকা মতে ১,৬০১ জন মানুষকে হত্যা করে। কপিলমুণি যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হবার গর্বজনিত গণ আদালতের রায়ে বন্দী ১৫৫ জন রাজাকারের মধ্যে ১৫১ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। কপিলমুণি যুদ্ধের পর পর্যায়ক্রমে খুলনা ও ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনে মোড়ল আব্দুস সালাম একজন নিবেদিত প্রাণ সংগঠক ও নেতার দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে নৌপথ ও সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট অঞ্চলের যে সকল কমান্ডার ও নৌ-কমান্ডার সহযোগিতা করেন স,ম, বাবর আলী, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মুজিব বাহিনীর প্রধান, বৃহত্তর খুলনা। মুজিব বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ ইউনুস আলী ইনু, প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ, গাজী মোঃ রফিক, মোড়ল আব্দুস সালাম, স,ম, আলাউদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, নৌ-কমান্ডো বজলুর রহমান, সমশের আলী, শফিক আহম্মেদ, ডঃ মাহফুজুর রহমান, মেজর সামছুল আরেফিন, সাইদুর রহমান কুটু ভাই, নুরুল ইসলাম মানিক, কে,এম মুজিবর রহমান, যিজির আলী বিবি, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চুসহ হাজারও মুক্তিযোদ্ধা।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি পূর্বতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিসি কলেজ থেকে ¯œাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং পুনরায় ১৯৭২ সালে বৃহত্তর খুলনা জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়নের এক পর্যায় ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদ (জেএসডি) গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ কয়েকটি জেলার গণবাহিনী প্রধান ও সিওসি এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি কয়েকবার কারাবরণ করেন।
প্রগতিশীল প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়। তাঁর দলের মতাদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হন এবং বাসদ গঠন করে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে সংস্কারপন্থি জাসদের সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ মেয়াদে জাসদের খুলনা জেলার সভাপতি ও পরবর্তীতে আমৃত্যু জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মোড়ল আব্দুস সালাম তাঁর বর্নাঢ্য রাজনীর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক ও ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোস্পানীর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী ছিলেন। এছাড়াও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন উত্তরণ পরিচালিত কেন্দ্রীয় পানি ও ভূমি কমিটি পরিচালনায় দক্ষ ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যায় সুপেয় পানির নিশ্চয়তা এবং এতদঅঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পানি কমিটির অন্যতম পুরোধা। এছাড়াও খুলনা সাতক্ষীরা অঞ্চলে খাস জমিতে ভূমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম এবং ভূমিহীন নারী পুরুষদের মাঝে খাসজমি বিতরণের নেতৃত্ব দেন। তিনি উত্তরণ পরিচালিত তালা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। তালা উপজেলার খাসজমি চিহ্নিতকরণ, ভূমিহীন বাছাই ও তালিকা প্রণয়ন ছিল তাঁর চিন্তার ফসল।
সামাজিক জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি কানাইদিয়া রথখোলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু স্মৃতি সংসদের আজীবন সদস্য, কপিলমুণি পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, কপিলমুণি আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি, কপিলমুণি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ব্যক্তি জীবনে মোড়ল আব্দুস সালাম এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নির্লোভ, খাঁটি বাঙালী এবং আদর্শ দেশপ্রেমিক, সদালাপী, বিনয়ী, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মনোস্ক। তিনি কখনও সুযোগ সন্ধানী ছিলেন না। মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িকতাই ছিল তার ধর্ম। সকলের কাছে প্রিয় এই মানুষটি আমাদের মাঝে নেই। তিনি গত ৫ জুলাই ২০১১ খ্রিঃ মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আমরা এ বীর সেনানীর অকাল প্রয়াণে শোকাহত, মর্মাহত। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করি।
এই মহান দেশপ্রেমিকের মৃত্যুর পরে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ;
মোড়ল আব্দুস সালাম গণ গ্রন্থাগার, বেসরকারীভাবে পরিচালিত, উত্তরণ এর ব্যবস্থাপনায়, তালা, সাতক্ষীরা।
বিপ্লবী আব্দুস সালাম স্মৃতি পরিষদ, কপিলমূণি, পাইকগাছা, খুলনা।
আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশন, তালা, সাতক্ষীরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম বৃত্তি ও কল্যাণ ট্রাষ্ট, কপিলমুণি, পাইকগাছা, খুলনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম স্মৃতি মিনার পরিষদ, কৃষ্ণকাটি, তালা, সাতক্ষীরা।
কপিলমুণি বালিকা বিদ্যালয় একটি ভবন সালাম চত্ত্বর নামে নামকরণ করা হয়।
তালা ব্রীজ ভায়া কপিলমুণি খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি সালাম সড়ক নামে নামকরণ করা হয় এবং তালা ৬ নং মডেল ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষিত তালা উপজেলার শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশপ্রেমিক মোড়ল আব্দুস সালামকে মরণোত্তর স্মারক প্রদান করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট