ঘানার একটি ছোট্ট গ্রাম আমানকরম, সেখানকার বাসিন্দা কফি আসিলেনু। বয়স ৮০ বছর, তার স্ত্রীর সংখ্যা ১২ জন। আর সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ১০০ এর চেয়েও বেশি। কিন্তু আরও সন্তানের বাবা হতে চান কফি।
কফি অাসিলেনু যে গ্রামে থাকেন সেখানে মোট জনসংখ্যা ৬০০ জনের মতো। সেই হিসাবে গ্রামটির মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগেরও বেশি কফির সন্তান। শতাধিক সন্তানের বাবা কফিকে শারীরিকভাবে এখনও শক্ত সামর্থ্যই মনে হয়। তিনি এখানেই থামতে চান না। আরও সন্তান জন্ম দেয়ার আশায় আছেন তিনি। সংসার বড় হওয়া সত্ত্বেও কফির ১২ স্ত্রী ভালোই আছেন। তারা সবাই সুখী।
কফির ভাষ্য, তার কোনো ভাইবোন বা চাচা নেই। এ কারণে বড় পরিবার চেয়েছিলেন তিনি। তার জন্মস্থানে সন্তান জন্ম দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। এসব কারণে বেশি সন্তানের জনক হতে চেয়েছেন তিনি।
কফির প্রথম স্ত্রী নিয়োমে আসিলেনু বলেন, ‘আমাদের বিয়ের পর তিনি আবার বিয়ে করতে চাইলেন। আমি তাকে বাধা দিইনি। কারণ আমাদের সবাইকে দেখভাল করার সামর্থ্য আছে তার। সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারেন। সবাই স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী। তাই তার একাধিক বিয়েতে ভুল কিছু দেখছি না। ’
কফির পরিবারে স্বভাবতই বহু খরচ। তার সম্পদের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে। কফি জানান, সন্তান লালন-পালনের মতো সামর্থ্য রয়েছে তার। সন্তানরাও বড় হয়ে তাকে বেশ সাপোর্ট দিচ্ছে। তাই আরও সন্তান জন্ম দিলেও সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, ঘানায় বহুবিবাহের প্রচলন আছে। দেশটিতে বহু সন্তানকে সম্পদের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।