স্বাস্থ্য ও জীবন : শেষ কবে গম বা যবের ছাতু খেয়েছেন সেটি নিশ্চয় মনে নেই। একসময় গ্রামের বাড়িতে সকালের নাস্তায় ছাতু ছিল নিয়মিত খাবার। এখন এর চল নেই বললেই চলে। তবে এখন আবার পুষ্টিবিদরা ছাতু খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন। ছাতুর উপকারিতা জানার পর আপনিও ডায়েট চার্টে ছাতু রাখবেন নিয়মিত।
১. শক্তি বাড়ে। ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
২. হজমে শক্তি বাড়ে ছাতু খেলে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতু নিয়মিত পানিতে গুলিয়ে খেলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
৩. ডায়বেটিসের জন্য ভালো। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৪. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারি। প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এই দুটি উপদান ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট একদিকে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, আর অন্যদিকে, প্রোটিন শরীরের অন্দরে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করে।
৫. শিশুর শরীরের যথাযত বৃদ্ধির জন্য যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাই তো বাজার চলতি হেলথ ড্রিঙ্কের পরিবর্তে নিয়মিত যদি বাচ্চাদের ছাতু খাওয়ানো যায় সেটি বেশি উপকারী।
পূর্ববর্তী পোস্ট