পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে সরকারী কোন দপ্তর পরিচালনার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
”রায় ঘোষণার পর, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন,” মিঃ শরিফের দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়।
মি. শরিফের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আয়ের সাথে সম্পদের অসঙ্গতি থাকার অভিযোগ কেন্দ্র করে এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মামলার রায়কে ঘিরে ইসলামাবাদের আদালত প্রাঙ্গণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। কিছুদিন আগে এক বিশেষ তদন্তে উঠে আসে যে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাদের অর্থনৈতিক সম্পদের হিসেব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২০১৫ সালে পানামা পেপার্স ফাঁসের পর জানা যায় মি. শরীফের সন্তানরা বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।
পাঁচজন বিচারকের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক, এজাজ আহমেদ খান বলেছেন, মি. শরীফ এখন আর “একজন সৎ সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার যোগ্য নন”। – জানাচ্ছে রয়টার্স।
মি. শরীফ, তার মেয়ে মরিয়ম এবং তার স্বামী সফদর, অর্থমন্ত্রী ইশরাক দারসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
এদিকে রায় মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলী খান।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোন বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।