ডেস্ক রিপোর্ট : “বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালীন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িতরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছেন। এ ঘটনা নিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। মামলা চলাকালে বিভ্রান্ত হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আইনজীবীরাও।” রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব একথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আবুবকর সিদ্দিক। এ সময় তার সাথে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারাও উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট ধর্ষণের শিকার হিজলদি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পতœী মাহফুজা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে দেখে যশোর যাবার পথে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সৃষ্ট মামলার বাদি হন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিন। তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই মামলার ধার্য দিনে তাকে বিবাদি পক্ষের আইনজীবী এড. আবদুল মজিদ নানাভাবে জেরা করার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা মোসলেমউদ্দিনকে সাতক্ষীরা হাসপাতালের করোনারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অসুস্থতার জন্য তারা এড. আবদুল মজিদের জেরা করাকে দায়ী করেন। মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এড. আবদুল মজিদ জানান, বাদি মো. মোসলেমউদ্দিন সেদিন আদালতে বিজ্ঞ বিচারকের সামনে জবানবন্দি দিচ্ছিলেন। জবানবন্দি শেষ হবার মূহুর্তে বয়োঃবৃদ্ধ ব্যক্তি মো. মোসলেম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে দিন তাকে জেরা করার কোনো সুযোগ বা কারণও ছিল না। জেরা করার দিন পরবর্তীতে নির্ধারন করা ছিল। একই মন্তব্য করেন আদালত সংশ্লিষ্টরাও। তারা বলেন, সেদিন জেরা করার দিন ছিল না।
এ প্রসঙ্গে বাদির আইনজীবী এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেন, জাবনবন্দি প্রদানের শেষ পর্যায়ে মো. মোসলেমউদ্দিন কথা বলতে বলতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন জেরা করার তো কোনো সুযোগই ছিল না বলে তিনি আরো জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট