যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা দুই কোটি টাকা মূল্যের ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের ওপেন ইয়ার্ড থেকে খালাসের সময় ওই চালান আটক করা হয়।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিসি) সাদেক হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান খালাস নেওয়া হবে। চালানটির ওজন ও এইচ এস কোডের ব্যাপক গরমিল আছে। সে অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দারা বন্দরে নজরদারি বাড়ায়। একপর্যায়ে বন্দরের ওপেন ইয়ার্ডে থাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিক ফার্নেস ঘোষণায় আনা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের পণ্য চালানটি আটক করা হয়। পরে সেটি আবার পরীক্ষা করে গরমিল পাওয়া যায়। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপে চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
সাদেক হোসেন আরো জানান, আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী চালানটিতে ২০০ কেজি ট্রান্সফরমার অয়েল থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৮৩৬ কেজি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৫০ কেজি লুব্রিকেন্টের জায়গায় ২৫ হাজার ২০ কেজি গ্রিজ পাওয়া গেছে। এসবের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা, যার শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু আমদানিকারীরা মাত্র ১২ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে চালানটি খালাস করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এ কাজে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার শওকত হোসেন জানান, চালানটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাস করতে যেসব কর্মকর্তা সহায়তা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে এর আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ, এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্সের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্সের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একাধিকবার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবার স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে বলে কমিশনার জানান।
এ ঘটনায় শুল্ক আইন অনুযায়ী একটি মামলা হয়েছে।