কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কলেজের গভর্নিং বডি বাতিল ও কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সচেতন নাগরিক সামাজের ব্যানারে শত শত নারী ও পুরুষ ওই প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থি হয়। কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলের সভাপতিত্বে প্রতবিাদ সমাবেশে নেতাকর্মীরা বলেন, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজ এর অধ্যক্ষ রাজাকারের পুত্র ফারুক হোসেন কর্তৃক মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী এবং বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের আত্মসম্মানের উপর আঘাত করেছে। একই সাথে অধ্যক্ষ নিজে তৈরি করা অবৈধ গভির্নিং বডি বাতিল করতে হবে। সেই সাথে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবি করা হয়।
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আলী, আয়ুব আলী বিশ্বাস, মাস্টার নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শেখ রুহুল কুদ্দুস, ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ: গফুর, মাস্টার শাহিনুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, রঙ্গিলা কুদ্দুস, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আ: রহিম, ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি হবিবর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মধুসূদন পালসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ। সমগ্র প্রতিবাদ সমাবেশটি পরিচালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শেখ রুহুল কুদ্দুস।
উল্লেখ্য-স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের গভির্নিং বডির নতুন সভাপতি হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের নামে ডিওলেটার প্রদান করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন সেই ডিওলেটার গোপন করে সাবেক সভাপতি ভুট্টোলাল গাইনের নাম দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি পরে ফাঁস হয়ে পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে কেঁড়াগাছি ইউনিয়নব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যে কোন সময় ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছেন সচেতন মহল।