আসাদুজ্জামান : বসত বাড়িতে ডাকাতি করার অভিযোগ এনে এবার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমসহ ১২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম অবশ্য জানিয়েছেন তিনি আশাশুনি ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের ষঢ়যন্ত্রের শিকার।
আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত ওমর আলি সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বিজ্ঞ আমলি (আশাশুনি) আদালতে সিআরপি ১২৪/১৭ এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আগামী ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ১ নং আসামি শাহ নেওয়াজ ডালিম, আবু বাশার চিশতী, কামরুল ইসলাম, লাভলু গাজী, লিটন, মহসিন, সাইফুল ইসলাম, রিপন সরদার, সুব্রত গোলদার, মিজান, কবির সরদার ও রায়হান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক নং আসামি শাহ নেওয়াজ ডালিমের নেতৃত্বে তার বাহিনী চলতি বছরের ১২ জুন তারিখ গভীর রাতে ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাদির ছোট ভাই তছমাইল সরদার ও ফজলু সরদারকে মারপিট করে বেধে ফেলে। এবং বাড়ির দোতলায় প্রবেশ করে ৩০ ভরি স্বর্নের অলংকার নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, টিভি ও মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা কাউকে বললে তাদের জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়। ডাকাতি করার সময় বাদির ভাই ও মেয়ে ডাকাতদের চিনতে পারেন এবং তাদের নিয়ে গেলে খাজরা বাজারে পৌছালে টহলরত পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ডাকাতরা তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যাযে বাদি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় পরে গত জুলাই মাসের ৩০ তারিখে আদালতে এ মামলটি দায়ের করেন।
এদিকে, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ হোসেন ডালিম জানান, “আমি আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের ষঢ়যন্ত্রের শিকার। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে ডিআইজি, খুলনা বরাবর এরাই মিথ্যা অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত করেছিল। সার্কেল এএসপি তদন্ত করে ঘটনার কোন সত্যতা পাননি। অথচ আমাকে হয়রানি করার জন্য সেই একই মিথ্যা অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে। এসব কিছুর পিছনে আছেন আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। তিনিই বারবার আমার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।”