মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। দেশটির বিরোধীদলের অভিযোগ, পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকারের নির্বাচিত স্পিকারকে অভিশংসন করতে উদ্যোগ নিলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এসে আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেয় এবং পরে পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দেয়।
দেশটির বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, সেনানিয়ন্ত্রিত রায়ট বাহিনী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে পার্লামেন্টের সদস্যদের বের করে দিচ্ছে। এরপর এমডিপির অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় পার্লামেন্ট সদস্যরা আবার ফিরে এসে ভবনের সামনে রায়ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। পার্লামেন্ট সদস্যদের অভিযোগ তাঁরা পুনরায় ফিরে এসে ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে রায়ট পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা করে।
আজ মঙ্গলবার সকালের এই সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন রাজনীতিবিদ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এমডিপি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সদস্যরা স্পিকার আবদুল্লা মাসেহকে ইমিপিচের প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেই স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গতকাল সোমবার বিরোধীদলের আইনপ্রণেতারা তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব এনেছিলেন।
এদিকে এমডিপির এক পার্লামেন্ট সদস্য বিবিসিকে জানান, মঙ্গলবার সকালে স্পিকার মাসেহ সংসদ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পর আবার তা বন্ধ করে দেন যেন সদস্যরা অভিশংসন প্রস্তাবে অনাস্থা ভোট দিতে না পারেন।
এর পরই সাদা পোশাকের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে রাজনীতিবিদদের পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেন। এরপর রায়ট পুলিশ এসে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বিবিসি জানিয়েছে ২০০৮ সালে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সেনানিয়ন্ত্রিণ নিরাপত্তাবাহিনী নানাভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। গত মাসেও দেশটির বিশেষ বাহিনীর সাদা পোশাকের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আনা একটি অনাস্থা প্রস্তাব রুখে দিয়েছিল।