শূন্য রানে ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ বিপাকে বাংলাদেশ। ১৮৬/৫ থেকে মুহূর্তেই ১৮৬/৮ হয়ে গেল বাংলাদেশ। তাতেই ম্যাচে ফিরে এল অস্ট্রেলিয়া। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ চা-বিরতির আগে দলকে আর কোনো ধাক্কা খেতে দেননি। শফিউলকে নিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন, দলকে এনে দিয়েছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ আরও ২৮টি রান। ৭ রানের ব্যবধানে দুজনই আউট হওয়ায় ২২১ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ২৬৪ রানের লিড বাংলাদেশের।
হুটহাট ৩ উইকেট পড়ার পর উইকেটে ছিলেন মিরাজ আর শফিউল। অ্যাশটন অ্যাগারের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মিরাজ। লক্ষ্যটা অনুমিতই। অলআউট হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য টার্গেটটা ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া।
এর আগে অদ্ভুতুড়ে আউট হয়েছেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা অধিনায়ক। ৪১ রান করেছেন। কিন্তু ননস্ট্রাইক প্রান্তে ক্রিজে না থাকার মাশুল দিয়েছেন মুশফিক। লায়নের হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে যাওয়ায় রানআউট হয়ে ফিরেছেন। এরপর চার বল খেলে কোনো রান না করেই ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাসির হোসেন। সাব্বির খেলছিলেন নিজের মারমুখী ভঙ্গিতেই। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তাঁকেও ফিরতে হয়েছে। প্রথম ইনিংসের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করতেই হয়তো আর রিভিউ নিলেন না। এরপর মিরাজ আর শফিউল বিপদ হতে দেননি। ২৪৮ রানের লিড আর হাতে ২ উইকেট নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম আর ইমরুল কায়েস ফিরে গেলেও আক্রমণটা সচল রেখেছিলেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও দারুণ ধারালো তামিমের ব্যাট। মুশফিকও যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন প্রথম ইনিংসের বড় রান না করার দুঃখটা ঘোচাতে। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পরই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। তামিমের পর খুব দ্রুত আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। তামিম আউট হয়েছেন ৭৮ রানে। ১৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। প্রথম সেশনের দুই ঘণ্টায় ৮৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।
সকালে তাইজুলের ফেরাটা খুব অপ্রত্যাশিত ছিল না। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে ভালোই খেলে গেছেন তিনি। ২২ বল খেলে ৪ রান করেছেন। কিন্তু সত্যিকারের ধাক্কা হয়ে আসে ইমরুলের উইকেটটি। নাথান লায়নের বলে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন। অফস্টাম্পের ওপর দুর্বলতাটা বোঝা যাচ্ছিল। ইমরুলের সেই দুর্বল জায়গায় একের পর এক বল করে ফল পেলেন অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার। ১৮ বল খেলে ২ রান করে ফিরেছেন ইমরুল। স্লিপে তাঁর ক্যাচটি নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
দিনের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে প্যাট কামিন্সকে সীমানাছাড়া করেছিলেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ বলে আবার স্লিপ ও গালির ফাঁক গলে বাউন্ডারি। দিনের শুরুটা একেবারে মনের মতোই হয়েছিল বাংলাদেশের।
কামিন্সের বলে তামিমের বিরুদ্ধে একটি এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন হয়েছিল। মাঠের আম্পায়ার আলিম দার তাতে ‘না’ বলে দেওয়ায় অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ রিভিউও নিয়েছিলেন, কিন্তু টিভি আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নিশ্চিত করেছেন, আলিম দারের সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল।