রাজধানীর দারুস সালামে জঙ্গি আস্তানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ভবনে আগুণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকা ধোঁয়া আচ্ছন্ন হযে পড়ে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ঘটনা স্থলে আহত হয়েছে র্যাবের ৪ সদস্য। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের নাম পাওয়া যাযনি। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঠিক রাত ১১: ৩০ মিনিট জানা গেছে ভেতরে থাকা ২ শিশুসহ পাঁচ জঙ্গি আত্মঘাতি হয়েছেন। এতে ২ শিশুসহ পাঁচ জঙ্গিই নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ৮ ঘণ্টা ধরে ঘিরে রাখা বাড়ির সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল্লাহ কিছুক্ষণের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবে এমনটাই জানা গিয়েছিল। স্ত্রী সন্তানকে আস্তানার বাইরে পাঠিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে জঙ্গি। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন,“সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে সে আত্মসমর্পণ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এর মধ্যে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে চাইলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা আত্মসমর্পন না করে ভয়াবহ বিস্ফোরণ টি ঘটায়।
টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানা থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাসাটিতে অভিযান শুরু করা হয়। জানা যায়, ইতিমধ্যে বাড়িটির গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে ভেতরে থাকা আব্দুল্লাহর সঠিক পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আব্দুল্লাহ কাছে ৫০টির মতো আইডি আছে এমন তথ্যও জানা গেছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার হাসান চিশতির নামের একব্যক্তির একতলা একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। এসময় ঐ বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে মাসুদ ও খোকন নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে ঐ বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার দুইসহযোগীসহ অবস্থান করছেন এমন তথ্য জানার পর বাসাটিতে অভিযান শুরু করে র্যাব।