স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসকরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। সীমিত সম্পদের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের প্রবীণ ও তরুণ চিকিৎসকরা একের পর এক মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।’ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে মুক্তামনিকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢামেক এর বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তামনির হাতের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন দেশের চিকিৎসকরা। তারও আগে আবুল বাজানদার, জোড়া শিশু তোফা ও তহুরাকেও আলাদা করেছেন। আমি চিকিৎসকদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করছি মুক্তামনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক হাত নিয়ে বাড়ি যাবে।’
এর আগে তিনি মুক্তামনিকে দেখতে তার কেবিনে যান। মুক্তামনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানায়, ‘আমি ভাল আছি।’
বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত মুক্তামনির খোঁজ-খবর রাখছেন।
ঢামেক এর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সাজার্রি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মুক্তামনির অপারেশনটি ছিল অত্যন্ত জটিল। আমরা অনেক কষ্ট করে তাকে আজকের এই অবস্থায় এনেছি। তার হাতের সব টিউমার অপসারণ করেছি। মুক্তামনি বর্তমানে স্টেবল থাকলেও সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে নাসিরউদ্দিন, ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, বার্ন ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং মুক্তিমনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা।
মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম হোসেন মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।