আসাদুজ্জামান : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রতাপনগরের হরিশখালি পয়েন্টে খোলপেটুয়া নদীর ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও গত দুই দিনেও সেটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে হরিশখালী, মাদারবাড়িয়া, তালতলা ও প্রতাপনগর গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বাধ সংস্কারের কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে তা আবারও তলিয়ে যায়। এরপর আজ শনিবার সকাল থেকে সেখানে সহ¯্রাধিক লোক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ করছেন।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ জরাজীর্ণ ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বাধ ভেঙে যায়। এতে প্রথমে হরিশখালি ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর শুক্রবার তালতলা ও প্রতাপনগর নামে আরো দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত দুই দিন যাবত সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার করার কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে পানির প্রবল স্রোতে তা আবারও তলিয়ে যায়। এরপর শনিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ।
তিনি আরো বলেন, আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুনিল কুমার ঘটনাস্থল পরিদমর্শনে আছেন।
এ ব্যাপরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ না করে কেটে দেন।