পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় শালিসি সভায় ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিত করে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে এক বয়োঃবৃদ্ধকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাবেক ইউপি সদস্য মান্নান মিস্ত্রী ও তার ছেলে শিক্ষক লিন্টুর বিচারের দাবী জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের উত্তর আমিরপুরের ঈদগাহ মাঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ঈদুল আযহার নামাজ শেষে উপজেলার উত্তর আমিরপুরের ঈদগাহ মাঠে ঈদগাহের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রীর কাছে রক্ষিত টাকা-পয়সার হিসাব তুললে মুসল্লীরা জানান, হিসাব দিলে তো ঝামেলা মিটে যায়। এ নিয়ে মুসল্লিরা ও মান্নান মিস্ত্রী এবং তার ছেলে মনিরুজ্জামান লিণ্টু তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে পিতা-পুত্র ও মুসল্লী বৃদ্ধ তমেজ হাজরা (৭০) সহ অনেকের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারীর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঐ দিন দুপুরে মান্নান মিস্ত্রী ও তার ছেলের নেতৃত্বে ৮/১০ জন যুবক তমেজ হাজরার বাড়ীতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে তমেজ ও তার পরিবারের লোকজন অন্য বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এদিকে এ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের জন্য বাসাখালীর সুলতান মাহমুদ খোকন ও বাচ্চু সহ এলাকার বিশিষ্ট জনরা শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে। এ বিষয়ে খোকন ও বাচ্চু অভিযোগ করেছেন, শুক্রবারের পূর্ব নির্ধারিত শালিসী সভায় স্থানীয় ৮নং ইউপি সদস্য মনোহর চন্দ্র মন্ডল যোগ দিলে মান্নান মিস্ত্রী তাকে গালিগালিজ করে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। যা ইউপি সদস্য নিজেই এ ঘটনা স্বীকার করেছেন। বয়োঃবৃদ্ধ তমেজ হাজরা সহ শালিসী সভায় উপস্থিত মানুষ জানিয়েছেন, এক পর্যায়ে মান্নান মিস্ত্রী তার ছেলে স্কুল শিক্ষক লিন্টুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোর কাকা তমেজের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দে। এ ঘোষণা দিয়েই মান্নান মিস্ত্রী নিজেই ঐ বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিলে শালিসী সভার লোকজন স্তম্ভিত হয়ে নিরব প্রতিবাদ জানান। এ অভিযোগ সম্বন্ধে মান্নান মিস্ত্রী এ ঘটনার দোষ স্বীকার করেন বলেন, এ নিয়ে লেখালেখির কোন দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাঞ্চিত ইউপি মনোহর মন্ডল ও তমেজ হাজরা থানায় অভিযোগের অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়ার অভিযোগ! পাইকগাছায় ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত
পূর্ববর্তী পোস্ট