নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ রোডে দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পুলিশ সোর্স নজরুল হত্যাকারীদের বিচার ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শুক্রবার বিকালে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুলিয়া ইউপি সদস্য ও কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি দেবাশীষ মন্ডল, আব্দুস সালাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজনুর রহমান, যুবলীগ নেতা আল-মামুন, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফিরোজ আলম, সরদার মিঠু, আব্দুল কাদের, আব্দুল আলিম, ডাক্তার মনিরুল ইসলাম, নাজিম সরদার, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় বক্তরা নজরুল হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী সহ হত্যাকারীদের নজরুলের পরিবারকে বার বার হুমকি প্রদানের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় বক্তরা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের সনাক্ত করার আহবান জানান এবং দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বেশামাল কার্যকলাপে সমালোচনা করেন। বক্তরা বলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নামে নিহত নজরুলের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করার পরে তিনি বিভিন্ন ভাবে নজরুলের পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়া সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা বলেন ঘটনার দিন ভাইস চেয়ারম্যান নিজে নিহত নজরুলকে অজ্ঞাতনামা লাশ হিসাবে সনাক্ত করেন এবং তার ফেসবুকে লাশের ছবি দেন ও তিনি এই লাশের পরিচয় জানতে চান কিন্তু নিহত নজরুলের সাথে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দীর্ঘ ৮-১০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল। বক্তাদের প্রশ্ন এত বছরের বন্ধুকে তিনি কেন চিনেও না চেনার ভান করলেন? বক্তারা অভিযোগ করে বলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষমতা ও অর্থের জোরে এখনো হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা হত্যাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেফতার ও সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। উল্লেখ যে, গত ৩১ শে আগষ্ট রাত ৯টার দিকে কে বা কারা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পুলিশ সোর্স নজরুলকে হত্যা করে বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগে সাদা প্রাইভেটকারে করে সখিপুর হাসপাতালে ট্রলিতে ফেলে রেখে যায়। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে মৃত অবস্থায় দেখে দেবহাটা থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং তাৎক্ষনিক উপস্থিত ব্যক্তিরা তার লাশের সনাক্ত করতে না পারায় পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে লাশ ময়না তদন্ত করে সাতক্ষীরা শহরে রসুলপুর সরকারি কবরস্থানে দাফন করে। পরে ফেসবুকের সূত্র ধরে নজরুলের পরিবার লাশের পরিচয় শনাক্ত করিলে আদালতে শরণাপন্ন হয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার পর তার লাশ গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা থানা পুলিশের লাশ উত্তোলন করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সোর্স নজরুল হত্যা: আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
পূর্ববর্তী পোস্ট