মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা বন্ধ করতে বলল সৌদি আরব। তাদের ওপর চলমান বর্বরতা বন্ধ এবং কোনো ধরনের বৈষম্য কিংবা বর্ণের ভিত্তিতে শ্রেণিকরণ না করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের শীর্ষ কর্তারা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
জেদ্দার আল সালাম প্রাসাদে সাপ্তাহিক ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সৌদি বাদশাহ এবং দুই পবিত্র মসজিদ মক্কা মুকাররমা ও মসজিদে নববির জিম্মাদার সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা বলেন, এ ধরনের অপরাধ ও তাণ্ডবের মাধ্যমে বহু গ্রাম ও বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরতম ও রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের নমুনা।
মন্ত্রিপরিষদ জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়টি তুলে ধরেছে সৌদি আরব। দেশটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাঁচ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীনতার পর থেকেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে দেশটি।
বৈঠকের বিষয়ে সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ আল-আওয়াদ সৌদি প্রেস এজেন্সিকে (এসপিএ) বলেন, গত কয়েক দিনে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। তিনি বলেন, সৌদি আরব যেকোনো সন্ত্রাসের নিন্দা জানায় এবং আক্রান্ত দেশগুলোর পাশে থাকবে।