নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোমরাস্থল বন্দর মটর সাইকেল চালক সমিতির অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১১টায় ভোমরাস্থল বন্দরে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোমরাস্থল বন্দর মটর সাইকেল চালক একটি অফিস রয়েছে কাস্টমসের পাশে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১১টায় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী ও তার পোষ্য বাহিনীর সদস্য বৈচনা গ্রামের রজব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, গয়েশপুর গ্রামের কিনু সরদারের ছেলে সোহরাব হোসেন, শ্রীরামপুর গ্রামের মুধ’র ছেলে মন্টু, ভোমরা’র আকবর গাজীর ছেলে এরশাদ আলী, জিয়াদ আলীর ছেলে সুমন হোসেন,লহ্মদাড়ী গ্রামের মীর আলীর মুনসুর আলী, নবাতকাটি গ্রামের সুমন কলু, চৌবাড়িয়া গ্রামের আসমাতুল্লাহ’র সিরাজুল ইসলাম, ও লহ্মীদাড়ী গ্রামের কেনা’র ছেলে খোকাসহ ১৫/১৬ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত মটরসাইকেল চালক সমিতির ভাংচুর শুরু করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা মটরসাইকেল চালক লহ্মদাড়ী গ্রামের মোমিনের ছেলে বাবুর আলী, আনারুল মোল্যার ছেলে তুহিন হোসেন, গয়েশপুর গ্রামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে রকিবকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এদিকে অফিস ভাংচুরের সময় ইসরাঈল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শীর্ষ পর্যায়ের আ’লীগ নেতাকর্মীদের ছবিও ভাংচুর করে তারা। এসময় তারা বলে ভোমরা জামায়াত-বিএনপির ঘাটি। এখানে আ’লীগের কোন অফিস থাকবে না। অফিস করার চেষ্টা করলে আবারো হামলা চালিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেবো। এছাড়া মটরসাইকেল চালকদের জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায় তারা।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল বিগত দিনে জামায়াতের সহযোগি ছিলো এবং অর্থ দাতা হিসাবে পরিচিত। তার এ জামায়াতের গন্ধ মুছতে তিনি সম্প্রতি জেলা জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে অফিস ভাংচুরের সময় বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী ছবি ভাংচুর করায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ দোষীদের দ্রষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী বলেন আমি কোন অফিস ভাংচুর করিনি। মূলত ঘটনা হলো ওই গালিতে একজন ব্যক্তি দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে ৩টি আঙ্গুল কেটে যায়। স্থানীয় মটরসাইকেলদের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করলেও তারা নিয়ে যায়নি। যে কারণে স্থানীয় জনগন ক্ষিপ্ত ভাংচুর করেছে। এছাড়া ওই জমি সরকারি দখল অফিস করার কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটছে। আর ওই ছবিগুলো সভাপতি জাকির নিজেই ভেঙেছে।
এঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে থানা থেকে তদন্তে গেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা ফিরে আসলে তারপর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মামলা হবে।