ক্ষমতায় যাওয়ার আগে এক নারীর করা মানহানির মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবিরকে এবার তথ্য–উপাত্ত পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার মাত্র দুদিন আগে মানহানির মামলাটি করেন সামার জারভস। একসময় মার্কিন টেলিভিশন এনবিসির শো দ্য অ্যাপ্রেনটিস উপস্থাপনা করতেন ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে পঞ্চম সেশনের প্রতিযোগী ছিলেন সামার জারভস। নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে তিনি অভিযোগ করেন, চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে ট্রাম্প তাঁকে যৌন হয়রানি করেন। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নিউইয়র্কের বেভারলি হোটেলে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যান। যেখানে ট্রাম্প ওই নারীর অনুমতি ছাড়াই তাঁকে চুমু খান। তখন টুইটার, বার্তা ও নির্বাচনী জনসভায় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
তবে জারভসের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন ট্রাম্প। ১৪ অক্টোবর নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে এক নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প জারভসকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, অভিযোগ সব মিথ্যা। এটি ‘লকার রুম ব্যভিচার’। অর্থ লাভ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য তিনি এই দাবি করেন। সে সময় জারভস অভিযোগ করেন, ট্রাম্প একজন মিথ্যুক, নারীর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ। তিনি তাঁকে (জারভস) হেয় ও অপমানিত করেছেন বক্তব্যের মাধ্যমে। পরে গত ১৮ জানুয়ারি মানহানির মামলা করেন তিনি।
আদালতের ওই তলবে জারভস ও তার সহযোগীদের করা অভিযোগের ওপর তথ্য উপাত্ত পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প ক্যাম্পেইনকে। সেই সঙ্গে আরও যেসব নারীকে ট্রাম্প যৌন হয়রানি করেছেন, তার তথ্যও পেশ করতে বলা হয়েছে।
মার্চে ইস্যু করা তলবনামা নথিভুক্ত হয় গত ১৯ সেপ্টেম্বর। এই তলবের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করেছে বাজফিড নিউজ।