ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে গত ২৮ অক্টোবর শনিবার ফেনীসহ কয়েকটি জায়গায় সাংবাদিকরা বর্বোরচিত হামলার শিকার হয়েছেন। ওই হামলায় ডিআরইউ এর সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক আহত হয়। ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পত্রিকা, চ্যানেল, অনলাইন ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মনে করে, এ ধরনের হামলা যে বা যারাই করুক না কেন এটা পরিকল্পিত হামলা। এই হামলার পেছনে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের ন্যাককারজনক হামলার প্রতিবাদে ডিআরইউ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
এদিকে সম্প্রতি ডিআরইউ’র সদস্য আবুল বাশার নুরুকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ডিআরইউ মনে করে, আইন তার নিজ গতিতেই চলবে। এক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত আবুল বাশার নুরুকে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বার্থে জামিন মঞ্জুরের জন্য আদালতের সুবিবেচনা প্রত্যাশা করছে ডিআরইউ।
অপরদিকে, উৎপল দাসের মত একজন পেশাদার সাংবাদিক দীর্ঘ ২১ দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে থানায় ২টি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে না। এই ঘটনায় গোটা সাংবাদিক মহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সাংবাদিকদের উপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার, আবুল বাশার নুরুকে অনতিবিলম্বে জামিনে মুক্তি প্রদান এবং নিখোঁজ উৎপল দাস এর ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা প্রয়োজন। অন্যথায় এসব কারণে ডিআরইউ রাজপথে নামলে যে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে এর দায়ভার সংশ্লিষ্টদেরকেই বহন করতে হবে।