অনেকে বলে থাকেন, শরীরে কোন কাটা-ছেঁড়ার পর টক খাওয়া ঠিক নয়। কারণ টক খেলে ক্ষত বাড়বে, যদিও এটি ঠিক নয়।
আবার কেউ বলে থাকেন, ফল খাওয়ার পরে পানি খাওয়া উচিত নয়। এ কথাটা ঠিক। কারণ, ফল খাওয়ার পর এটা হজম হতে সময় লাগে। আর হজমে যেন অসুবিধা না হয়, সে জন্য যেকোনো ফল খাওয়ার পর পানি না খাওয়াটা ভালো। আরও জেনে নিন-
* সকালের খাবারের পরই চা পান করা ঠিক নয়। ভরপেট সকালের নাশতা খাওয়ার পরে চা খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। নাশতা খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চা পান করা উচিত।
* কলা এবং দুধ: কলা এবং দুধ একসঙ্গে সবাই খাই ঠিকই, কিন্তু এতে বিষক্রিয়া সম্ভাবনা প্রচুর।
* মাংস এবং আলু: মাংসের সঙ্গে ম্যাসড আলু খেলেই বিপদ।
কেন না ফাইবারের স্বল্পতায় শরীরে নানা রকম ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
* ডিম এবং বেকন: ডিমে রয়েছে হাই প্রোটিন আর বেকনে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। যা এক সঙ্গে খেলে হজম হতে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী শরীর থেকে বেমালুম এনার্জি উধাও হয়ে যেতে পারে।
* বার্গার এবং ভাজাভুজি: বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-ই খাওয়া হয় সাধারণত। ডুবো তেলে ভাজার কারণে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি রক্তচাপ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
* পিৎজা এবং সোডা: পিৎজায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তার সঙ্গে সোডা জাতীয় পানীয় গ্রহণ করা হলে মুশকিলে পড়তে পারেন। কেন না সোডায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। যার জেরে হজমে বেশ সমস্যা দেখা যেতে পারে।
* অলিভ অয়েল এবং বাদাম: বাদামে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। আর অলিভ অয়েলে ফ্যাট। যা হজমে বেশ সমস্যা করতে পারে। শরীর বিগড়েও যেতে পারে।
* মাফিন এবং জুস: মাফিনে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। তার সঙ্গে জুস খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এই কারণে রক্তচাপ বেশ বেড়ে গিয়ে গোল বাধে।
* টোমেটো এবং পাস্তা: পাস্তা প্রচণ্ড ভারী খাবার এবং টোমেটোর মধ্যে অ্যাসিডিক উপাদানও ভরপুর। দুইয়ে মিলে শরীর বিগড়ে যাওয়ায় প্রভূত সমস্যা রয়েছে।