যাক, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গত কয়েকটা ম্যাচে কোনো কিছুই পরিকল্পনামতো হচ্ছিল না রংপুর রাইডার্সের। গেইল-ম্যাককালামরা এলেও গত ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরেছিল মাশরাফির দল। তবে আপাতত জয়ে ফিরল দেশের সর্ব-উত্তরের দলটি। সিলেট সিক্সার্সকে ৭ রানে হারিয়ে স্বস্তির জয় পেল রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে এলো দলটি।
প্রথমে ব্যাটিং করে গেইলের হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। জবাবে ১৬২ রানে থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।
ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা বাজে হয়েছিল সিলেটের। ২৫ রানেই দলের প্রধান তিন তারকা দানুশকা গুনাথিলাকা-আন্দ্রে ফ্লেচার ও বাবর আজমকে হারিয়ে বসে দলটি। দ্বিতীয় ওভারে গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন সোহাগ গাজী। তৃতীয় ওভারে বাবর আজমকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মাশরাফি। আর চতুর্থ ওভারে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন।
ম্যাচ তখন প্রায় রংপুরের মুঠোয়। তবে সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেন ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করলেন ১১৭ রান। এই জুটিতে ম্যাচটা প্রায় বেরই করে ফেলেছিল সিলেট। দলীয় ১৪২ রানে ফিরে যান সাব্বির। ৪৯ বলে ৭০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
সাব্বির ফেরার পর আবার ম্যাচে ফিরতে শুরু করে রংপুর রাইডার্স। মাশরাফি-রুবেল-পেরেরারা আঁটসাঁট বোলিং করতে থাকেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিলেটের দরকার ছিল ১৯ রান। তবে থিসারা পেরেরার ওভারে খুব বেশি কিছু একটা করতে পারেননি নাসির হোসেন। ৪৩ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসির।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে রংপুর রাইডার্স।
এই ম্যাচেও রাইডার্সদের হয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন ক্রিস গেইল ও ম্যাককালাম। শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল রংপুরের। আট ওভারের স্কোরে ৮০ রান যোগ করেন এই দুই তারকা। ২১ বলে ৩৩ রান করেন ম্যাককালাম। সতীর্থ ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি গেইল। ৩৯ বলে পাঁচ ছয় ও দুটি চারে ৫০ রান করেন গেইল।
গেইল-ম্যাককালাম ফেরার পর রানের চাকাটা ধীর হয়ে আসে রংপুরের। মোহাম্মদ মিঠুন-শাহরিয়ার নাফীস-থিসারা পেরেরারা বেশি কিছু করতে পারেননি। তবে রবি বোপারারা ১২ বলে ২৮ রানের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রান তুলতে সমর্থ হয় রংপুর।