কিশোরী রোগী ও তার খালাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে এক চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আবদুর রশিদ। তিনি ডায়াবেটিক ও হরমোন বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপকও তিনি। ২০ বছরের ওই তরুণী এবং তার ৯ বছরের ভাগ্নিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই চিকিৎসককে মারপিটও করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায়। ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ের হরমোনের সমস্যায় তাকে চিকিৎসক আবদুর রশিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শ্যালিকা এবং মেয়ে তার চেম্বারের ভেতরে ঢোকে। এ সময় ওই চিকিৎসক ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী, তার শ্যালিকা দরজা বন্ধ করেন। এরপর চিকিৎসার নামে ওই চিকিৎসক প্রথমে তার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এতে বাধা দেন তার শ্যালিকা। এ সময় ওই চিকিৎসক তার শ্যালিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। এ সময় বেরিয়ে যেতে চাইলে ওই চিকিৎসক তার শ্যালিকাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান।
এ সুযোগে তার মেয়ে কক্ষের দরজা খুলে দেয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তিও হয়। পরে অন্য রোগীর স্বজনরা গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
তবে জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, এসব কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তার দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ রেজাউল করিম বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে, তা তারাও বুঝতে পারেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসককে মারপিট এবং অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শ্লীলতাহানির চেষ্টায় চিকিৎসক অবরুদ্ধ
পূর্ববর্তী পোস্ট