গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগরে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও টি.এম.এস.এস এর বাস্তবায়নে
সেফ এ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকোনমিক এ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন হলরূমে উক্ত অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মরতা ফারূক হুসাইন সাগর, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মরতা মোঃ সেলিম খান, আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, উপস্থিত ছিলেন সেফটির সাতক্ষীরা জেলা জোনাল প্রধান জিয়াউর রহমান, সেপটি প্রকল্পের পি.এম খন্দকার শহিদুল আলম, এ.ই.ও মোঃ মোস্তফা জামাল, এ.ডি মোঃ আমিনুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার এ.এফ.এফ এম.বেলাল হোসেন, মোঃ মাসুদ পারভেজ, সূর্য্যকান্ত বিশ্বাস, আবু কায়েম সোহান প্রমূখ, এ সময় চিংড়ি চাষী কৃষক, সুধীজন, সাংবাদিকবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠান পরিচালক সেফটি প্রকল্পের পি.এম. খন্দকার শহিদুল আলম কম্পিউটর প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিংড়ি চাষের আদ্যপান্ত নানা বিষয়ের উপর ভিভিও চিত্র প্রদর্শন করেন। তিনি এসময় দক্ষিণাঞ্চলের বিক্ষ্যত চিংড়ির চাষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদন বহুলাংশে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন সেফটি প্রকল্প আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে চিংড়ীর উৎপাদন বাড়াতে সেইসাথে মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্যে তা বিক্রির জন্য চাষীদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাবে। তাছাড়া টি এম এস এস একজন চিংড়ি চাষীর তার জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৩০ শতাংশ লোন প্রাপ্তির সুবিধা দেবে যা ৩-৪ মাস পর কৃষক এককালীন পরিশোধ করতে পারবে। এরপর অতিথিবৃন্দ গূরূপ্তপূর্ন বক্তৃতা রাখেন। অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে চিংড়ি চাষীদের বিভিন্ন প্রশ্ন, সমস্যা ও পরামর্শ শোনা হয়।