ভারতের কেন্দ্রশাসিত বিভিন্ন অঞ্চল এবং রাজ্যের ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এছাড়া এদের মধ্যে ২৫ জন মুখ্যমন্ত্রীই কোটিপতি; অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ তিনজন রয়েছেন যারা সবচেয়ে কম অর্থ-বিত্তের মালিক। বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের দেয়া হলফ নামার তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশটির বেসরকারি গবেষণা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর) ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের এক বিশ্লেষণ বলছে, মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অন্তত ১১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। এছাড়া আটজনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, প্রতারণা ও অবৈধ উপায়ে সম্পত্তি দখল ও অপরাধের উসকানি দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে।
৩১ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৫ জনই কোটিপতি। এদের মধ্যে শীর্ষ তিন কোটিপতি হলেন, অন্ধপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু; তার সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৭৭ কোটি রূপি। এরপর অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডু; তার সম্পত্তির পরিমাণ ১২৯ কোটি রূপি এবং ৪৮ কোটি রূপির সমমূল্যের সম্পত্তির মালিক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং আছেন তৃতীয় স্থানে।
তবে এর উল্টো চিত্রও দেখা গেছে। ২৫ মুখ্যমন্ত্রীই যখন কোটিপতির ক্লাবে রয়েছেন; তখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মোট সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ২৬ লাখ রূপি সমমূল্যের। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ৩০ লাখ রূপি ও জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির ৫৫ লাখ রূপি সমমূল্যের সম্পত্তি রয়েছে।
যে মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের যোগি আদিত্যনাথ (বিজেপি), মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফাদনাবিশ (বিজেপি), ঝারখণ্ডের রঘুবর দাস (বিজেপি), বিহারের নিতীশ কুমার (জেডি-ইউ), অন্ধপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু (টিডিপি), তেলেঙ্গানার কে চন্দ্র শেখর রাও (টিআরএস), পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং (কংগ্রেস), দিল্লির অরববিন্দ কেজরিওয়াল (এএপি), জম্মু-কাশ্মিরের মেহবুবা মুুফতি (পিডিপি) ও পুদুচেরির ভি নারায়ণস্বামী (কংগ্রেস) রয়েছেন।