সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত দই খেলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না, বরং নানারকম হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।বস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে দইয়ের মধ্যে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া এবং আরও সব উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে।
নিয়মিত দই খেলে শুধুমাত্র হার্টের ক্ষমতাই বাড়েএমন নয়,এছাড়াও নানাবিধ শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন-
১) রক্তে খারাপ কোলেস্টরল এর মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় দই। তাই নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবারটি খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। পরিবারে যদি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত দই খেতে পারেন।
২) গবেষণায় দেখা গেছে দই খাওয়ার পর আমাদের মস্তিষ্কের ভেতর এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে যেসব মরন রোগগুলির কারণে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে,তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই তো নিয়মিত দই খাওয়ার প্রয়োজনয়ীতা বেড়েছে।
৩) ভুঁড়ি কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।ইউনিভার্সিটি অব টেনেসির গবেষকদের করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত দই খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে,সেই সঙ্গে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা প্রায় ২২ শতাংশ বেড়ে যায়।
৪) দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এই দুটি উপাদান দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বয়স শেষেও অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগ আক্রান্ত হওয়ার কোন সম্ভবনা থাকে না।
৫) দইয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। গবেষণায় দেখা গেছে পেপটিক আলসার হওয়ার পিছনে দায়ি এইচ পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে দই।