আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত দেশের ১৬টি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) পদে রদবদল করতে যাচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ অথবা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ওই ১৬ জেলার এসপির বাইরে আরো তিনজন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতিও চূড়ান্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাদের একজনকে অতিরিক্ত আইজিপি এবং অন্য দুইজনকে ডিআইজি হিসেবে চলতি দায়িত্ব দিতে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য নথি পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো আলাদা আলাদা নথিতে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহারকে অতিরিক্ত আইজিপি, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়কে ডিআইজি হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনে এটাই বড় ধরনের রদবদলের উদ্যোগ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রোববারই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হতে পারে।
যেসব জেলার পুলিশ সুপার পদে রদবদল হতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, বিএনপি অধ্যুষিত বগুড়া জেলা। সেখানকার দায়িত্ব পাচ্ছেন পুলিশ সদর দপ্তরের লিগ্যাল ইন্টারসেপশন সেলের এসপি আনিসুর রহমান ভূইয়া।
বগুড়ার পাশের জেলা জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গাইবান্ধায় এসপি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত আব্দুল মান্নান মিয়া। এক্ষেত্রে গাইবান্ধার এসপি মাশরুকুর রহমান খালিদকে কিশোরগঞ্জ জেলায় নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ জেলার বর্তমান এসপি আনোয়ার হোসেনকে বদলি করা হচ্ছে পুলিশ সদরে।ডিএমপিতে কর্মরত উপ-কমিশনার আলমগীর কবির নিয়োগ পেতে পারেন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে।
ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের উপ-কমিশনার খান মো. রেজওয়ানকে মাগুরায় এসপি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নড়াইলের এসপি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন।
রাজশাহীর এসপি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
এছাড়াও রদবদল হচ্ছে পাবনা ও বান্দরবান জেলার এসপি পদে।