পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় কপোতাক্ষের পর শিবসা নদী পলি জমে মৃত্যু প্রায়। পানি নিস্কাশনের কোন উপায় নাই। সামান্য জলোচ্ছাস বা জোয়ারের পানি বাড়লেই তলিয়ে যায় পৌর সদর। নদীটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। পাইকগাছা পৌরসভা শিবসা নদীর উপকূলে অবস্থিত। যার ৩ দিকে রয়েছে শিবসা নদী আর ১দিকে স্থলভাগ। মাত্র কয়েক বছর পূর্বে নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টীমারে করে দক্ষিণ এলাকার লোকজন খুলনা জেলা সদরে যাতায়াত করত। পাইকগাছা বাজারের পাশেই ছিল যাত্রী ছাউনী আইডব্লিউ ঘাট। প্রতিদিন কয়েকটি লঞ্চ ভিড়ত উক্ত ঘাটে। লোকজন উঠা-নামা সহ ব্যবসায়িক মালপত্র উঠানামা করত। পৌরসভার ৩ দিকে ছিল ৩টি খেয়াঘাট। হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হতো খেয়া নৌকায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীটি পলি জমে একেবারেই ভরাট হতে চলেছে। বর্তমানে লঞ্চ, স্টীমার দুরের কথা নৌকা চলতে দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। নদীর তলদেশের তুলনায় পৌর সদর ও নদীর দক্ষিণ পাশের বিলের জমি অনেক উচু হয়ে গেছে। ফলে পৌর সদর সহ এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা হারিয়ে ফেলেছে। নদীতে সামান্য জলোচ্ছাস বা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হলে বাজার তলিয়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। পৌর সদরসহ আশ-পাশের এলাকা অধিকাংশ সময় তলিয়ে থাকে। নদীতে পলি জমে দু’ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জন্মে বনাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শিববাটী ব্রীজ হতে পৌর সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শিবসা নদী হাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পলি জমে চরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। নেই কোন খেয়াঘাট, লোকজন হেটেই নদী পার হচ্ছে। এমনিভাবে চলতে থাকলে ১/২ বছরের মধ্যে পাইকগাছা পৌর সদরসহ আশপাশ এলাকা বছরের পর বছর তলিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির এই এলাকার নদীটি খনন করে পূর্বের ধারায় ফিরিয়ে নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট