অনেক তরিতরকারিতেই আমরা স্বাদ বাড়ানোর জন্য টমেটো ব্যবহার করে থাকি। অনেকে আবার স্যালাডেও টমেটো খেয়ে থাকেন। টমেটোর গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, কিন্তু এই গুণগুলোর পাশাপাশি টমেটো যে চর্বি কমাতেও সাহায্য করে তা অনেকেরই অজানা।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাঁচা টমেটো দিনে ৪টা থেকে ৫টা খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরে কোলেসিসটোকিনিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা পেটের এবং ইনটেস্টাইনের মধ্যে যে ভালভ রয়েছে তা সংকুচিত করে দেয়। ফলে পেট ভরা থাকে, খিদে কম পায়। আর তাতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
এছাড়াও টমেটোর মধ্যে রয়েছে আরও বিশেষ কিছু গুণাগুণ রয়েছে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেগুলো সম্পর্কে।
১. হাড় ভালো রাখে
টমেটোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে রয়েছে। এগুলো হাড়ের টিস্যু ঠিকঠাক রাখতে ও ছোটখাটো হাড় সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
২. চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে টমেটোর ভূমিকা অপরিসীম। তাই রোজ খাদ্যতালিকায় টমেটো থাকলে তা আপনার চোখের জন্য উপকারি।
৩. ইনসুলিন নিঃসরণ কমে এবং ওজন বৃদ্ধির হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে
খাদ্য হিসেবে এটা অত্যন্ত কম ক্যালরিযুক্ত। একটা ছোট টমেটোতে ক্যালরির মাত্রা থাকে মাত্র ১৬। এছাড়া, টমেটোতে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। যা ‘গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স’ সমৃদ্ধ। এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে। ফলে ইনসুলিন নিঃসরণ কমে যায় এবং যে হরমোন চর্বি সঞ্চয় ও ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে সেটিও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৪. ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে
এছাড়াও, টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে, রক্তের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। টমেটো যত লাল হবে তত বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি থাকবে। তবে রান্নার ফলে নষ্ট হয়ে যায় টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি।
৫. ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা রোধ করে
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে টমেটো বেশ উপকারি। যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা প্রতিরোধেও এটি সাহায্য করে।