পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের জাল লক্ষ্য করে একটা শট পর্যন্ত নিতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্বসেরা ফুটবলারই যখন ব্যর্থতার এই ছায়ায় পড়ে থাকেন, সেখান থেকে কি আর তার দলের বেরোনোর সুযোগ থাকে? সুযোগ পায়নি পর্তুগালও। সোমবার (২৬ মার্চ) নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে তারা।
রাশিয়ায় জুন থেকে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে দলগুলো। আগের ম্যাচে মিশরের বিপক্ষে সে প্রস্তুতিটা ভালোই সেরেছেন সিআর সেভেন। জুরিখের ওই ম্যাচে তার জোড়া উদযাপনে ২-১ গোলে জিতে যায় ২০১৬ সালের ইউরো শিরোপাজয়ী পর্তুগাল।
নেদারল্যান্ডের মতো ‘বড়’ দলের বিপক্ষে তেমন ঝলক দেখিয়ে রোনালদো পর্তুগালকে বিশ্বকাপের ফেবারিটদের সারিতে নিয়ে আসবেন বলেই ভেবেছিলেন তার ভক্তরা।
কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত ডাচ রক্ষণভাগের বৃত্তে পড়ে থাকতে হলো রিয়াল মাদ্রিদ প্রাণভোমরাকে। তাকে দর্শক বানিয়ে পর্তুগালের জালে প্রথমার্ধেই বল তিনবার পাঠিয়েছেন মেম্ফিস ডিপে, রায়ান বাবেল ও ভারজিল ভ্যান ডাইক। প্রথম গোলটি হয়েছে ১১তম মিনিটে, দ্বিতীয় গোলটি ৩২ মিনিটে। আর ডাচ রক্ষণভাগ থেকে এসে রোনালদোর দলের জালে শেষ বলটি প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পাঠিয়েছেন ভ্যান ডাইক।
ম্যাচের প্রথম দিকে পর্তুগালের খেলোয়াড়দের পায়ে বল বেশি থাকলেও রোনাল্ড কোয়েমানের শিষ্যরাই দফায় দফায় আক্রমণ শানায় প্রথমার্ধে। শেষতক ফলও বাগিয়ে নেয় তারা। ম্যাচের শেষার্ধে পর্তুগিজদের কেবল রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত দেখা গেলো। শেষ বাঁশি বাজার আগে পর্তুগিজ গোলরক্ষক লোপেজ দুর্দান্ত একটি সেভ না করলে ব্যবধানটা ০-৪ পর্যন্ত হতে পারতো।
ফাঁকে ৬২তম মিনিটে মাঠে ঢুকে পড়েন রোনালদোর কয়েকজন ভক্ত। দু’একজন তার সঙ্গে সেলফিও তোলেন। ম্যাচে পর্তুগিজ সুপারস্টারের ‘প্রাপ্য’ বলতে এটুকুই।
এই গোটা মৌসুমে এবারই প্রথম কোনো শট নেওয়া ছাড়া ম্যাচ কাটাতে হলো রোনালদোকে, তাও আবার নেদারল্যান্ড দলের বিপক্ষে, যারা কি-না বিশ্বকাপে খেলারই সুযোগ পায়নি এবার।
তাই বুঝি ফুটবল সংবাদমাধ্যম গোল.কমের টুইটার অ্যাকাউন্টে হতাশ রোনালদোর ছবি দিয়ে ক্যাশপন দেওয়া হলো, ‘যে দল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই লাভ করলো না, সেই দলের সঙ্গে ৩-০ গোলে হারার অনুভূতি যেমন…!’