মোঃ আরাফাত আলীঃ কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মোহম্মদ নগর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করে তালাক দিলেন ৩ সন্তানের জনক ওই মাদ্রাসার লম্পট সহকারি শিক্ষক ইব্রাহিম গাজী (৩৮)। সে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত হারান গাজীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকাল ৪ টার দিকে। স্থানীয় অহেদুজ্জামান, আনিছুর ও সাহেব আলী গাজী জানান রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ সরদারের মেয়ে ও দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই শিক্ষক। এরই জের ধরে গত ৩ মাস আগে লম্পট শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরা কোর্টে নিয়ে বিয়ে করে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে গত ৪ দিন আগে বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানিয়রা গত রবিবার ৫০ হাজার টাকা মেয়ের পরিবারকে দিয়ে দফারফা করেন বলে জানা যায়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে সহকারি শিক্ষক ইব্রাহিমের বাড়িতে গেলে দেখা পাওয়া যায়নি মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে বিয়ের বিষয়ে অস্বীকার করে তিনি বলেন দুই দিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাইরে রয়েছেন এবং প্রতিবেদনটি না করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গেলে জানা যায় তার পরিবার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে রফাদফা করার পরে তাকে খুলনাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় মেয়ের পিতা আব্দুল জলিল গাজী ও তার চাচাত ভাই ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তাদের বিয়ে হয়ে ছিল তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গরা ৫০ হাজার টাকার মাধ্যমে মিমাংসা করে কাবিন নামা ছিড়ে ফেলেছে এবং মেয়ের নিকট থেকে তালাক নামায় স্বাক্ষর নিয়েছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব হোসেন বলেন এবিষয়ে তিনি অবগত নন, তবে বিষয়টি তদন্ত করে করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এমন নেক্কার জনক ঘটনার নায়ক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোর শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল