সম্প্রতি গবেষকেরা ওমান উপসাগরে বিশাল একটি মৃত্যুকূপের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকদের দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মৃত্যুকূপ। এর আয়তন স্কটল্যান্ডের চেয়েও বেশি। লন্ডনের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউইএ) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয় ওই গবেষণায় সহযোগিতা করেছে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ওমান উপসাগরের ওই বিশাল জায়গায় কোনো প্রাণী টিকতে পারছে না। আরব সাগরের অংশ ওই জায়গা আগে অপেক্ষাকৃত ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। জলদস্যু ও সাগরের ওই অংশের মালিকানা নিয়ে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর দ্বন্দ্ব থাকায় এত দিন ওই এলাকা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি।
সম্প্রতি গবেষকেরা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদন বলছে, ওমান উপসাগরের প্রায় অক্সিজেনশূন্য ওই এলাকা স্কটল্যান্ডের চেয়ে বড়। ওই এলাকার আয়তন ৭৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের চেয়েও বেশি, যা দিন দিন আরও বাড়ছে।
ওই অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহে সিগ্লাইডার্স নামের রোবট ব্যবহার করেছেন গবেষকেরা। এই রোবট পানিতে এক হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। এই রোবটে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার থাকে, যা তথ্য বিশ্লেষণে বেশ দক্ষ। গবেষকেরা বলছেন, মৃত্যুকূপে এমনও জায়গা আছে যেখানে রোবট তেমন কোনো অক্সিজেনই পায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, পরিবেশগত এই বিপর্যয় শুধু সেখানকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্যই হুমকি নয়। সেখানকার সমুদ্রের ওপর জীবন-জীবিকার জন্য নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্যও হুমকি।
গবেষক দলের প্রধান বাসতিন কুইস্ট বলেন, ওমান উপসাগরের এই এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মৃত্যুকূপ। এর জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্বের যেকোনো সাগরে ২০০ থেকে ৮০০ মিটার গভীরতায় অক্সিজেন কম থাকে। কিন্তু মৃত্যুকূপে পানির এই গভীরতায় অক্সিজেনের পরিমাণ আরও কম।