বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভায় চলছে যত্রতভাবে একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে জেলাসহ পৌরসভার জায়গা। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। তথ্যে প্রকাশ, জেলা সদর হতে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে খুলনার প্রথম পৌরসভা পাইকগাছা। যার আয়তন ২.৫২ বর্গকিলোমিটার। প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। পৌর সীমানার মধ্যে সদর সহ ৭টি হাট বাজার, ২৫টি মসজিদ, ৭টি মন্দির সহ সংখ্যা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি শিবসা ও কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকতায় গড়ে ওঠে এই পৌরসভা। যা ধীরে ধীরে আলোকিত পৌরসভায় রূপ নেয়। সন্ধ্যার পর বৈদ্যুতিক সংকট দেখা গেলেও পৌর কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় সমস্ত শহরে সৌর বাতি জ্বলে ওঠে। যার দাবি রাখে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর সহ তার পরিষদ। কিন্তু পৌরসভা আলোকিত করলেও জেলা পরিষদসহ পৌরসভার জায়গা দখল করে চলেছে ভূমিদস্যুরা। পৌর সদর সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যবসায়ী চলছে খেয়াল খুশি মত। রাস্তা দখল করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে শতশত প্রতিষ্ঠান। মাংস বাজার চলছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। চাঁদনী না থাকায় কাঁচা বাজার চলছে এলোমেলোভাবে। রয়েছে যানজটের বড় সমস্যা। ট্রাফিক না থাকায় বাজার হতে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত যান চলাচল ঝুকিপূর্ণ থাকতে দেখা যায়, রাস্তার উপর বাস-মিনিবাস সহ মালবাহী ট্রাক। দখল হয়ে যাচ্ছে পৌর সদর সংলগ্ন শিবসা নদীর চর ভরাটি জায়গা। বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাজার সংলগ্ন নদীর পাশে ফেলে গন্ধে পরিবেশ দূষিত করছে। রয়েছে মাছ, কাঁকড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জুয়ারে নদীর দূষিত পানিতে পৌর সদরের বিভিন্ন রাস্তা তলিয়ে যায়। নেই শহর রক্ষা বাঁধ। সমস্যা রয়েছে পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত আদর্শ শিশু বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, লাইব্রেরির পাশে জীম ঘরের ব্যবস্থা। সবকিছু মিলিয়ে যেন পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা চলছে যত্রতত্রভাবে। অত্র এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা সরকারি চাকুরীজীবি সহ ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছ পৌরসভা গড়ে তোলার জন্য কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট