দেশের খবর: দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এসএম শামীম ইকবালকে বরখাস্ত ও বীর কান্ত রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগেও তাকে দায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এসএম শামীম ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার এলজিইডির খুলনার কয়রা অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক এসএম হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিট যথাসময়ে আদালতে পেশ করেননি শামীম ইকবাল। অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলার অভিযোগ তদন্ত করেছেন এই কর্মকর্তা। তদন্ত শেষে ঘুষের প্রমাণসহ প্রতিবেদন পেশ করা হয় কমিশনে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৪ জুন কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর দীর্ঘদিনেও চার্জশিটটি আদালতে পেশ না করে গুরুতর অপরাধ করেছেন শামীম ইকবাল। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তাকে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে বদলি করে দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০০৮ এর ৩৯(ক),(খ), (ঙ) বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিশনে ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার পর আসামি হাবিবুল্লার সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা এসএম শামীম ইকবালের গোপন আঁতাত হয়। এই সময়ে অবৈধ অর্থ লেনদেনও হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিগত দিনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অভিযুক্তকে মামলার ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ আড়াল করে অব্যাহতির সুপারিশ করে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে শামীম ইকবালের বিরুদ্ধে।
তখন বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের পর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।