মইনুল ইসলাম: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা, কচুয়া ও কাদাকাটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো রোগী আসে কর্মকর্তারা নেই, কর্মকর্তারা আসে ওষুধ নেই এমনই ভাবে চলছে এসব ক্লিনিক গুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সদিচ্ছার প্রতিফলন স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু সেই কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসময় এলাকার হাজার হাজার মানুষ। গত শনিবার ক্লিনিক গুলো ঘুরে ভিন্ন ভিন্ন এসব তথ্য জানাগেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা জনগণের সেবায় নিয়জিত থাকবে। কিন্তু সরকারি নিয়ম না মেনে এসব ক্লিনিক গুলো কোন ছুটি ছাড়ই বন্ধ আসে। আর যে ক্লিনিক খোলা আছে সে ক্লিনিক থেকে ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। অভিযোগ রয়েছে এসব ক্লিনিকগুলো প্রায় সময় বন্ধ থাকে। আর যেটুকু সময় খোলা থাকে ওষুধ নেই কর্মকর্তারা এমনই বলে রোগীদের কাছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কুল্যা কমিউনিটি ক্লিনিকের সি এইচ সি পি অমিত সরকারকে প্রশ্ন করা হয়Ñ এই ক্লিনিকে সেবার মান নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “আমাদের কাছ থেকে রোগী সেবা পায়নি এমনটা ভুল ধারণা। আমাদের সাধ্যমত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।”
পথিমধ্যে জয়নাল আবেদিন নামে একজন রোগী এসে চর্মরোগের ওষুধ চাইলেন এবং সি এইচ সি পি অমিত সরকার নেই বলেন। সে উপায় না পেয়ে অন্য আর একটি সমস্যার জন্য ওষুধ নিয়ে যায়। ওষুধ নাই এমন বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, “ওষুধ চাহিদার তুলনায় আমাদের কাছে অনেক কম আসে। সেজন্য আমরা সকল রোগীর চাহিদা মত ওষুধ দিতে পারি না।”
স্থানীয় রেহেনা বেগম জানান, স্থানীয় কিছু লোক ছাড়া দুরের সাধারণ মানুষ ওষুধ পায়না। কুল্যা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কচুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সাড়ে ১২ টার দিকে গিয়ে দেখা যায় ওই ক্লিনিকটা বন্ধ আছে। পরবর্তীতে ১ টার দিকে কাদাকাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় সেটাও বন্ধ আছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মালির স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, “সকাল থেকে ক্লিনিকের কোন কর্মকর্তা আসেননি। অন্যান্য দিন কখন ক্লিনিকে আসেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোন দিন ৯ টা ৩০ মিনিটে এসে আবার দুপুর হতে না হতেই চলে যায়। এব্যাপারে ক্লিনিকের সি এইচ পি আবিদ ওয়াহিদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সকালে আমি হাজিরা দিয়ে অফিসের কাজের জন্য আশাশুনিতে এসেছি। ওই ক্লিনিক থেকে ফিরে ২ টা ১০ মিনিটের দিকে কুল্যা কমিউনিটি ক্লিনিকটা খোলা ছিলো সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে যদি মানুষের প্রাথমিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চলে তাহলে সাধারণ মানুষ কতটুকু সেবা পাবে এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহেলর।
পূর্ববর্তী পোস্ট