আরাফাত আলী : কালিগঞ্জে এক মৎস্যজীবীর নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী চক্রের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি আশাশুনি উপজেলার নাছিমাবাদ গ্রামের হযরত আলীর ছেলে হাসানুর ইসলাম (১৯) জানান, তিনি তার বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘেষিয়া নদীতে মাছ ও খাচা পেতে কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘ যাবত কালিগঞ্জের কালিকাপুরস্ত গোয়ালঘেষিয়া নদীতে কাঁকড়া ধরতে গেলে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের দলু মোড়লের ছেলে চিহিৃত মাদকসেবী একাধিকবার জেলখাটা আসামি শাহিন মোড়ল (৩০) ও ইউসুফ শেখের ছেলে রাজগুল (৫০) মাসোহারা দাবি করে তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। চাঁদা না দিলে ওই নদীতে মাছ কিংবা কাঁকড়া শিকার করতে দেবে না বলে হুমকিধামকি দিতে থাকে। দরিদ্র ওই মৎস্যজীবী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কালিকাপুর এলকায় গোয়ালঘেষিয়া নদীতে গেলে বেধড়ক মারপিট করে ২ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এখন থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা হারে দিতে হবে মর্মে ওই দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর করিয়ে নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, মৎস্যজীবি হাসানুর ইসলামের নিকট চাঁদা দাবি বা মারপিট করে জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শাহিন মোড়ল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। এজন্য তার নামে মামলা হয়েছে এবং সে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটেছে। তার অপর সহযোগী রাজগুলও একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তারা এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কালিগঞ্জে মৎস্যজীবীকে মারপিটের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট