স্বাস্থ্য ও জীবন: শীতকাল আসলে সরিষার তেলের কদর বেড়ে যায় বহুগুন। সরিষার তেলের নানা উপাকারীতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমাদের দাদী-নানীরা যেন কখনো ক্লান্ত হতেন না। আসুন দেখে নেওয়া যাক সৌন্দর্য চর্চায় এর কী উপকারিতা রয়েছে:
১. ত্বকের প্রাকৃতিক আভা ফিরিয়ে আনে: শত শত বছর ধরে ভারতীয়রা গোসলের আগে দেহে সরিষার তেল ব্যবহার করে ম্যাসেজ করতেন। গোসলের আগে দেহের শুষ্ক জায়গাগুলো ম্যাসেজ করতে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায়। শুকিয়ে যাওয়া ত্বক অপসারণের জন্য সরিষার তেলের সঙ্গে বেসন, দই এবং লেবুর জুস মিশিয়ে বডি প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
২. ত্বক প্রস্তুতকরণ: শুষ্ক ছালওঠা ত্বক একটি সাধারণ সমস্যা রুঢ় শীতকালে আমাদের সকলেই যার মুখোমুখ হই। আর কোনো পার্টিতে যোগদানের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য একটি প্রধান বাধা হতে পারে এটি। কয়েক ফোটা সরিষার তেল নিয়ে মুখে ঘষুণ। এরপর পানি দিয়ে ধোয়ার আগে কয়েক মিনিট তা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ধোয়ার পর ত্বক মসৃণ হয়ে আসবে এবং ফাউন্ডেশন ও মেকআপ করার জন্য তৈরি হবে।
৩. যথাযথ চুলের যতœ: মাথার ত্বকে নিয়মিতভাবে সরিষার তেল ব্যবহার করলে খুশকি, খোস-পাঁচড়া এবং চুলপড়ার মতো শীতকালীন সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কেউ চাইলে সরিষার তেল দিয়ে একটি গরম তেল চিকিৎসাও করাতে পারেন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল চুল পাওয়া যাবে।
৪. ঠোঁটের সুরক্ষা প্রদান: খসখসে শুষ্ক ঠোঁট পুরো চেহারা সুরতের ওপরই ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল প্রয়োগে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করা সম্ভব। যা মোড়কজাত ঠোঁটের বামের চেয়েও বেশি নিরাপদ। কিন্তু পরিহাস হলো দাদী-নানীরা বলতেন, রাতে ঘুমানোর সময় নাভীতে এক বা দুই ফোটা সরিষার তেল লাগিয়ে ঘুমালে সকাল বেলা আপনার ঠোঁটগুলো শিশুর ত্বকের মতো নরম তুলতুলে হয়ে থাকবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট