খেলার খবর: বাজে ধরণের ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে স্বরূপে দেখা দিতে পাচ্ছিলেন না ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। অবশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল শুক্রবার গোলের দেখা পেলেন তিনি। কোস্টারিকার বিপক্ষে ইনজুরি টাইমে কুতিনহোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জয়সূচক গোলটি করেন এই ২৬ বছর বয়সী তারকা। এই এক গোলেই তিনি দুটি দারুণ রেকর্ড গড়ে ফেললেন।
‘ই’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেক্সা মিশনে থাকা ব্রাজিলকে ৯০ মিনিট আটকে রেখেছিল কোস্টারিকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর নিজেদের রক্ষণদুর্গ অটুট রাখতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯১ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল করেন ফিলিপ কুতিনহো। টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন এই বার্সা তারকা। এরপর ম্যাচের ৯৭ মিনিটে গোল করেছেন নেইমার। ওই গোলে একটি ব্যক্তিগত, অন্যটি ফুটবল বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়ে ফেললেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই ফুটবলার।
নেইমার ইনজুরি থেকে ফিরে ৪ ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন তার তিনটিতে। প্রীতিম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে নেইমার রোমারিও থেকে এক গোল পেছনে ছিলেন। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোল করে উঠে যান রোমারিওর সমানে। আর রাশিয়া বিশ্বকাপে এসে নিজের প্রথম গোলে ব্রাজিলের হয়ে রোমারিওর ৫৫ গোলের রেকর্ড ভেঙে ৫৬ গোল করে ফেললেন নেইমার। ব্রাজিল তারকাদের মধ্যে তার সামনে এখন দুই সাবেক রোনালদো (৬২) এবং পেলে (৭৭)।
এছাড়া নেইমার কোস্টারিকার বিপক্ষে ৯৭ মিনিটে যে গোলটি করেছেন তাতে হয়েছে বিশ্বকাপের এক রেকর্ড। সেকেন্ডের হিসেব ধরলে নেইমারের গোলটি ছিল ৯৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে হয়েছে। বিশ্বকাপে ১৯৬৬ সালের পর ৯০ মিনিটের ম্যাচে এর থেকে বেশি সময়ে গোল হয়নি আর।
এই জয় না পেলে বিশ্বকাপে টানা ৪ ম্যাচে জয়হীন থাকার রেকর্ড হতো ব্রাজিলের, ছুঁয়ে ফেলত নিজেদের ইতিহাসে বিশ্বকাপে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়হীন থাকার রেকর্ড। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপ মিলিয়ে এর আগে ৪ ম্যাচ জয় বঞ্চিত ছিল ব্রাজিল।